ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ক্ষমা চাচ্ছি, ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারব না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত গণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা ভারতে অরাজকতা চরম;দুই সেনা কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা

সিলেটের লালাবাজারে নদীর উপর পায়ে চলার সেতু ভেঙে ফেলায় হাইকোর্টের রুল জারি

মোহাম্মদ শাহজাহান আহমদ
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বাসিয়া নদীর উপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী পায়ে চলার পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় এলজিডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি লালাবাজারের ৪১ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে টিলাবাড়ি গ্রামের আজাম আলীর ছেলে আব্দুল করিমের দায়ের করা রিটের (নং ১১৪১/২৪) প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমা হায়দার ও কাজী জিন্নাত হক এ রুল জারি করেন।

রুলে লালাবাজারের পশ্চিম বাজারে বাসিয়া নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরাতন সেতুটি ভাঙার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বিগত ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বরের  ( স্মারক নং৪৬০২৯১০০.০০০.১৪.৪৮৮.২৩-৪১০১) ওয়ার্ক অর্ডারটি কেন বাতিল হবে না-এ মর্মে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এলজিডিকে কারণ দর্শাতে বলেছে হাইকোর্ট।

রিটকারী আব্দুল করিম বলেন, আমরা ৬৫ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আমাদের দাবি, পুরনো ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করা হোক।

লালাবাজারের ব্যবসায়ী ধন মিয়া বলেন, আমাদের পায়ে চলার ব্রীজটি অনেক পুরনো। পুরনো ব্রীজটি না ভেঙে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এতে ঐতিহ্যবাহী সেতু রক্ষা পাবে। পাশাপাশি নতুন ব্রীজের সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো বাজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু এলজিডির প্রকৌশলীরা আমাদের দাবি না মেনে ঐতিহ্যবাহী ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছেন। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করেছি।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন বলেন, মূল পুরনো ফুট ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ফুট ব্রীজটি রক্ষা পেতো, আবার নতুন ব্রীজ নির্মাণ হতো। এপ্রোচ সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো লালা বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।

সিলেট এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, লালাবাজারে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা পুরনো ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রিট বা রুলের কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। নথি পাওয়ার পর আমাদের আইন শাখার মাধ্যমে এ বিষয়ে জবাব দাখিল করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটের লালাবাজারে নদীর উপর পায়ে চলার সেতু ভেঙে ফেলায় হাইকোর্টের রুল জারি

আপডেট সময় : ১২:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বাসিয়া নদীর উপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী পায়ে চলার পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় এলজিডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি লালাবাজারের ৪১ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে টিলাবাড়ি গ্রামের আজাম আলীর ছেলে আব্দুল করিমের দায়ের করা রিটের (নং ১১৪১/২৪) প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমা হায়দার ও কাজী জিন্নাত হক এ রুল জারি করেন।

রুলে লালাবাজারের পশ্চিম বাজারে বাসিয়া নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরাতন সেতুটি ভাঙার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বিগত ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বরের  ( স্মারক নং৪৬০২৯১০০.০০০.১৪.৪৮৮.২৩-৪১০১) ওয়ার্ক অর্ডারটি কেন বাতিল হবে না-এ মর্মে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এলজিডিকে কারণ দর্শাতে বলেছে হাইকোর্ট।

রিটকারী আব্দুল করিম বলেন, আমরা ৬৫ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আমাদের দাবি, পুরনো ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করা হোক।

লালাবাজারের ব্যবসায়ী ধন মিয়া বলেন, আমাদের পায়ে চলার ব্রীজটি অনেক পুরনো। পুরনো ব্রীজটি না ভেঙে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এতে ঐতিহ্যবাহী সেতু রক্ষা পাবে। পাশাপাশি নতুন ব্রীজের সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো বাজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু এলজিডির প্রকৌশলীরা আমাদের দাবি না মেনে ঐতিহ্যবাহী ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছেন। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করেছি।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন বলেন, মূল পুরনো ফুট ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ফুট ব্রীজটি রক্ষা পেতো, আবার নতুন ব্রীজ নির্মাণ হতো। এপ্রোচ সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো লালা বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।

সিলেট এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, লালাবাজারে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা পুরনো ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রিট বা রুলের কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। নথি পাওয়ার পর আমাদের আইন শাখার মাধ্যমে এ বিষয়ে জবাব দাখিল করা হবে।