খাগড়াছড়িতে ৭এপিবিএন’র অভিযানে মাদক উদ্ধার; আটক ২ জন

- আপডেট সময় : ০২:০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭এপিবিএন এর অভিযানে খাগড়াছড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, মোবাইল ও নগদ টাকাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সূত্রে প্রকাশ, ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সিলেট এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) খন্দকার ফরিদুল ইসলামের দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রোকনুজ্জামান ও পুলিশ পরিদর্শক (টিটি) মুকুল বিকাশ চাকমা এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স’সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ জুলাই দুপুর আনুমানিক ২ টায় খাগড়াছড়ি সদরে আপার পেড়াছড়ার স্টাইল রেস্টুরেন্ট এ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, মোবাইল ও নগদ টাকা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। অভিযান টের পেয়ে একজন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
সূত্র আরও জানায়, অভিযানকালে আটশত পিস ইয়াবা, পনেরো বোতল বিদেশি মদ, ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা, ১৮ লিটার দেশীয় চোলাই মদ, চার টি মোবাইল ফোন, মাদক বিক্রির নগদ পঁচিশ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।
৭এপিবিএন এর মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, আটককৃত আসামী ক) অংচিংহ মারমা (২২), পিতা-উচাংতুয়াই মারমা, সাং- রায়খালি, থানা- চন্দ্রঘোনা, জেলা- বান্দরবান পার্বত্য জেলা, বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম-আপার পেড়াছড়া, থানা- খাগড়াছড়ি সদর, জেলা- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, খ) উথাইসিং মারমা(২৫), পিতা- মৃত উসাপ্রু মারমা, গ্রাম-আপার পেড়াছড়া, থানা- খাগড়াছড়ি সদর, জেলা- খাগড়াছড়ি। পলাতক আসামী- অংক্য মারমা (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-আপার পেরাছড়া, থানা- খাগড়াছড়ি সদর, জেলা-খাগড়াছড়ি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ দীর্ঘদিন থেকে ঘটনাস্থলে মাদক বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে। ঘটনার বিষয়ে এসআই মোঃ আবু সাঈদ বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রোকনুজ্জামান সহ তার টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পুরুস্কার ঘোষনা করেন ৭এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলার পাশাপাশি বাহ্মণবাড়ীয়া ও খাগড়াছড়ি জেলায় নিয়মিত ভাবে মাদক, চোরাচারান, অবৈধ অস্ত্র, মানবপাচার প্রতিরোধ সাইবার ক্রাইম, ইভটিজিং, বিকাশ প্রতারনা সহ যে কোন অপরাধ প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এছাড়াও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি কাস্টমস সহ বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সাথে মিলে অবৈধভাবে আসা স্বর্নের বার, মাদক, সিগারেট এবং বহিঃগমন যাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার জর্দা ও আগর উদ্ধার করে আসছে।
দেশকে মাদক ও জঙ্গী মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপি এবং এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজিপি নির্দেশনায় ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সিলেট অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে জানান খন্দকার ফরিদুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।