ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায়

- আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে আদালত।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
সেই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে সরকারের জারি করা গেজেটও বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে।
সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি মেয়র হতে পারব বা মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না সেটা সম্পূর্ণ দলীয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করে। তারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর অগাস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মত ঢাকার দুই মেয়রের পদও শূন্য ঘোষণা করা হয়।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক হোসেন।
তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছিল সেই মামলায়।
ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, মামলায় ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আমাদের পক্ষে রায় দিলেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিলেন।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তি।
মামলার পর ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করার নিয়ম থাকলেও ইশরাকের ক্ষেত্রে সময় লাগল পাঁচ বছর।
দক্ষিণের সাবেক মেয়র তাপসের কোনো হদিস নেই। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।