ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা এলজিইডিই হচ্ছে গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বাজার ব্যবস্থাপনায় শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে মাত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

চোরের যন্ত্রনায় অতীষ্ট সিলেটের ৪০নং ওয়ার্ডবাসী

তারেক আহমদ খান
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেট নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে বিগত ১ মাসে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় চোর অধরাই থাকছে!

বিগত ৩০শে জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার রাতে আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা মসজিদের ভেতরে দানবাক্স, মাইক, ফ্যান, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

এই ঘটনার ৩/৪ দিন আগে ৪০নং ওয়ার্ডের ছিটা শ্রীরামপুর এলাকায় কৃষক রুদ্র বিশ্বাসের ২টি গরু রাতে চোরেরা নিয়ে যায়। জানুয়ারি ৩য় সপ্তাহে একই গ্রামে সুনীল বিশ্বাসের বিদেশি উন্নত জাতের এটি গাভী রাতে চুরি হয়ে যায়। এর কিছু দিন আগে এই ওয়ার্ডের পালপুর জামে মসজিদ

পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমদ এর ২টি গরু নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়। এর আগে ছিটা গোটাটিকর এলাকা থেকে ৩টি গরু চুরি হয়ে যায়। এছাড়া আলমপুর গ্রামের আশরাফ আহমদ এর নিজ ঘর থেকে মোটরসাইকেল চুরি, ঘর চুরি ও বেশ কয়েকটি মোবাইলসহ বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটে।

ঘনঘন চুরির ঘটনায় আলমপুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত এই প্রতিবেদক কে বলেন, চুরির ঘটনাগুলোর কারনে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। চোরেরা আমার ছেলের মোবাইল ফোন পর্যন্ত নিয়ে গেছে। মোগলাবাজার থানায় অভিযোগ দিযেছি, আজ পর্যন্ত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।

পালপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রবীন মুরব্বি মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন, চুরের কারনে বাড়িতে বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।

ছিটা শ্রীরামপুর এলাকার কৃষক রুদ্র বলেন, আমার অনেক কষ্টের লালনপালন করা গরুগুলো চুরেরা নিযে গেছে। কি আর করবো, কার কাছ থেকে গরুগুলো ফেরত পাবো।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্দ্রনীল শেখর বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। ফাঁড়ি এরিয়া এলাকা অনেক বড়, একটি মাত্র গাড়ি ও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও আমরা টহল জোরদার করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চোরের যন্ত্রনায় অতীষ্ট সিলেটের ৪০নং ওয়ার্ডবাসী

আপডেট সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিলেট নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে বিগত ১ মাসে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় চোর অধরাই থাকছে!

বিগত ৩০শে জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার রাতে আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা মসজিদের ভেতরে দানবাক্স, মাইক, ফ্যান, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

এই ঘটনার ৩/৪ দিন আগে ৪০নং ওয়ার্ডের ছিটা শ্রীরামপুর এলাকায় কৃষক রুদ্র বিশ্বাসের ২টি গরু রাতে চোরেরা নিয়ে যায়। জানুয়ারি ৩য় সপ্তাহে একই গ্রামে সুনীল বিশ্বাসের বিদেশি উন্নত জাতের এটি গাভী রাতে চুরি হয়ে যায়। এর কিছু দিন আগে এই ওয়ার্ডের পালপুর জামে মসজিদ

পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমদ এর ২টি গরু নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়। এর আগে ছিটা গোটাটিকর এলাকা থেকে ৩টি গরু চুরি হয়ে যায়। এছাড়া আলমপুর গ্রামের আশরাফ আহমদ এর নিজ ঘর থেকে মোটরসাইকেল চুরি, ঘর চুরি ও বেশ কয়েকটি মোবাইলসহ বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটে।

ঘনঘন চুরির ঘটনায় আলমপুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত এই প্রতিবেদক কে বলেন, চুরির ঘটনাগুলোর কারনে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। চোরেরা আমার ছেলের মোবাইল ফোন পর্যন্ত নিয়ে গেছে। মোগলাবাজার থানায় অভিযোগ দিযেছি, আজ পর্যন্ত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।

পালপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রবীন মুরব্বি মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন, চুরের কারনে বাড়িতে বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।

ছিটা শ্রীরামপুর এলাকার কৃষক রুদ্র বলেন, আমার অনেক কষ্টের লালনপালন করা গরুগুলো চুরেরা নিযে গেছে। কি আর করবো, কার কাছ থেকে গরুগুলো ফেরত পাবো।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্দ্রনীল শেখর বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। ফাঁড়ি এরিয়া এলাকা অনেক বড়, একটি মাত্র গাড়ি ও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও আমরা টহল জোরদার করবো।