ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

দণ্ডিত মানিক মিয়া মামলার শুরু থেকেই পলাতক

১১ বছর আগে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, আজ স্বামীর ফাঁসির রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার মিরপুরে ১১ বছর আগে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত মানিক মিয়া ব্যাপারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

রায়ের সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মানিক মিয়ার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে, ঢাকার তিনি থাকতেন মিরপুরের ১০ নম্বর মেকশনে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মতিয়ার রহমানের মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সঙ্গে তার প্রেম হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। 

বিয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত। এরই এক পর্যায়ে মানিক ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি রিতার মাকে ফোন করে বলেন, তাদের মেয়ের ‘খুব জেদ’, দুই দিন তিনি বাসায় ফেরেননি। রিতার কিছু হলে তিনি দায়ী থাকবেন না।

এরপর রিতার মা ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় গিয়ে মেয়ের বাসায় যান। বাসার দরজা তালাবন্ধ দেখে বাড়িওয়ালার বোনের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কথায় জানতে পারেন, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একটি ব্যাগ নিয়ে একা বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন রিতা।

এরপর ঢাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ নিতে শুরু করেন রিতার বাবা-মা। ১৭ জানুয়ারি পুলিশ এসে রিতার বাবা মতিয়ার রহমানকে জানায়, রিতা মারা গেছেন, তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। সেই খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে তারা দেখেন, রিতার ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়েছে। তার ডান উরু ও হাঁটুর নিচে এবং ডান হাতের বগলের উপরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম রয়েছে।

মতিয়ার রহমান পরে জানতে পারেন, রিতাদের ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক মিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাসার বাথরুমে রিতার মুণ্ডহীন লাশ পায়। খোঁজাখুঁজি করে মাথাটি পাওয়া যায় প্লাস্টিকের একটি ড্রামে।

ওই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি মিরপুর থানায় মামলা করেন রিতার বাবা। তদন্ত শেষে ৫ এপ্রিল মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মিরপুর থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম। ওই বছর ২০ এপ্রিল পলাতক মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। 

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান। তিনি জানান, ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার মানিক মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দণ্ডিত মানিক মিয়া মামলার শুরু থেকেই পলাতক

১১ বছর আগে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, আজ স্বামীর ফাঁসির রায়

আপডেট সময় : ০১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

ঢাকার মিরপুরে ১১ বছর আগে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত মানিক মিয়া ব্যাপারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

রায়ের সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মানিক মিয়ার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে, ঢাকার তিনি থাকতেন মিরপুরের ১০ নম্বর মেকশনে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মতিয়ার রহমানের মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সঙ্গে তার প্রেম হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। 

বিয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত। এরই এক পর্যায়ে মানিক ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি রিতার মাকে ফোন করে বলেন, তাদের মেয়ের ‘খুব জেদ’, দুই দিন তিনি বাসায় ফেরেননি। রিতার কিছু হলে তিনি দায়ী থাকবেন না।

এরপর রিতার মা ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় গিয়ে মেয়ের বাসায় যান। বাসার দরজা তালাবন্ধ দেখে বাড়িওয়ালার বোনের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কথায় জানতে পারেন, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একটি ব্যাগ নিয়ে একা বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন রিতা।

এরপর ঢাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ নিতে শুরু করেন রিতার বাবা-মা। ১৭ জানুয়ারি পুলিশ এসে রিতার বাবা মতিয়ার রহমানকে জানায়, রিতা মারা গেছেন, তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। সেই খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে তারা দেখেন, রিতার ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়েছে। তার ডান উরু ও হাঁটুর নিচে এবং ডান হাতের বগলের উপরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম রয়েছে।

মতিয়ার রহমান পরে জানতে পারেন, রিতাদের ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক মিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাসার বাথরুমে রিতার মুণ্ডহীন লাশ পায়। খোঁজাখুঁজি করে মাথাটি পাওয়া যায় প্লাস্টিকের একটি ড্রামে।

ওই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি মিরপুর থানায় মামলা করেন রিতার বাবা। তদন্ত শেষে ৫ এপ্রিল মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মিরপুর থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম। ওই বছর ২০ এপ্রিল পলাতক মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। 

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান। তিনি জানান, ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার মানিক মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।