সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০২:১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
এসএমপি হেডকোয়ার্টার্স এর কনফারেন্স রুমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম, সভাপতিত্বে ফেব্রুয়ারি/২০২৪ খ্রিঃ এর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মোঃ জোবায়েদুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুঃ মাসুদ রানা, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন, অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) তোফায়েল আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাঃ সোহেল রেজা, পিপিএম, (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ -৮ পুলিশ সুপার মোঃ রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), পিবিআই পুলিশ সুপার মুহাঃ খালেদ-উজ- জামান, পুলিশ সুপার ট্যুরিস্ট পুলিশ মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) আব্দুল্লাহ আল-মামুন, উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম) মোঃ জাবেদুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) ইমাম মুহাম্মদ শাদীদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি, সিটি এন্ড সিসি, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত দায়িত্বে এডিসি (সদর ও প্রশাসন) শাহরিয়ার আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি এবং মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত মহানগর পিপি, সিলেট মোঃ নাসির উদ্দিন, র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম কিবরীয়া, প্রবেশন অফিসার সিলেট মোঃ তমির হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট এর সহঃ পরিচালক মোঃ মোহাইমিনুল হক, ইমিগ্রেশন ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর সিলেট এর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নাজমুস সাকিব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সিলেট পরিদর্শক মোঃ নজীব আলী সহ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ক্রাইম এন্ড অপস) গত জানুয়ারী/২০২৪খ্রিঃ মাসের মাসিক অপরাধ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন।
পুলিশ কমিশনার উনার বক্তব্যে বলেন, ডাকাতি, দস্যুতা, হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে তদন্ত করতে হবে। বিভিন্ন রিপোর্টের জন্য যেসকল মামলা দীর্ঘ মূলতবি রয়েছে সে ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যোগাযোগ ও পত্রালাপ করতে হবে। প্রয়োজনে তিনি হাসপাতাল পরিচালকের সাথে কথা বলবেন। তিনি জিআর মামলার মতো গুরুত্ব দিয়ে সিআর মামলাসমূহ তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। অফিসার ইনচার্জ ও সহকারী পুলিশ কমিশনারগণকে মূলতবী সিআর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রদান করেন। পাহাড় কাটা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। প্রবাসীদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত ও অন্যান্য অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। প্রবাসী সেলের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমাসে তাকে রিপোর্ট দিতে বলেন যাতে তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতসমূহে বিচার নিষ্পত্তিকৃত মামলায় সাজার হার তুলনামূলক কম। সাজার হার বাড়ানোর জন্য সাক্ষীদের যথাযথ ব্রিফিং এবং নিয়মিত সাক্ষী হাজিরে পদক্ষেপ নিতে অফিসার ইনচার্জ ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিনে পুলিশি পদক্ষেপের কারণে চাঁদাবাজি ও পণ্যবাহী যানবাহন ছিনতাই বন্ধ হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে অফিসার ইনচার্জ সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
বিগত মাসে উত্তম ও প্রশংসনীয় কাজের জন্য বিভিন্ন পদবীর পুলিশ সদস্যদের পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম পুরষ্কৃত করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাঃ সোহেল রেজা, পিপিএম, (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-অপরাধ) সুবাস চন্দ্র সাহা, সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহজাহান ভূঁঞা (শাহপরাণ রহঃ), অফিসার ইনচার্জ, শাহপরাণ (রহঃ) থানা, মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য রাজন, এসআই ইবাদুল্লাহ সহ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অন্যান্য পদবীর পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।