সিলেটে বিআরটিএ তে সেবার মান বৃদ্ধিতে অংশীজনের সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০২:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) সিলেট জেলা অফিসের সেবার মান বৃদ্ধি সংক্রান্ত অংশীজনের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সিলেট ও বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জি:) এর কার্যালয় সিলেট এ সভা আয়োজন করা হয়।
এতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা,পুলিশ প্রশাসন,সিলেট সিটি করপোরেশন,গণমাধ্যম,পরিবহনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগন উপস্হিত ছিলেন।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশীজনের আলোচনায় বিএরটিএ অফিস সিলেটে সেবা প্রত্যাশীদের সেবার মান বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
আলোচনায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মকসুদ আহমদ মকসুদ সিলেটের বিভিন্ন রুটে চালিত অবৈধ লাইসেন্সহীন হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকশা,টমটম অটোরিকশাকে লাইসেন্স প্রদান ও বিধিমালার আওতায় আনার দাবি জানান।
এছাড়া তিনি দেশের মধ্যে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সিলেটে প্রবাসে গমনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদেরকে জরুরী সার্ভিসের আওতায় এনে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স প্রদানের জন্য বিআরটিএ অফিসে ‘জরুরী সার্ভিস’ চালু করতে জোর দাবি জানান। যাহা পাসপোর্ট, ভূমি সহ অন্যান্য দফতরে ইতোমধ্যে এধরনের সেবা চালু হয়েছে।
এছাড়াও সভায় বিআরটিএ অফিসে সবধরনের হয়রানি বন্ধ করারও দাবি জানান অংশীজনরা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি। এসময় তিনি সড়ক আইন বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারুপ করেন।
তিনি বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স পেতে বিলম্বকে বড় ধরনের ব্যর্থতা উল্লেখ করে বলেন,ডিজিটালাইজেশন থেকে আমরা এখন স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছি,তাই লাইসেন্স প্রত্যাশীদের লাইসেন্স পেতে এধরনের বিলম্বিত প্রক্রিয়াকে দ্রুত সহজতর করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি প্রবাস যাত্রীদের লাইসেন্স প্রদানের জন্য জরুরী সার্ভিস চালুর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
এসময় তিনি সিলেট নগরী ও এর বাহিরে চালিত নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইককে পরিবহনকে নিয়ম নীতির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সিলেট হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী হিসেবে দেশ বিদেশে খ্যাত,এখানকার অনেক লোক বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে বসবাস করেন,তাই এনগরীর গুরুত্ব দেশের অন্য শহর বা নগর থেকে আলাদা রয়েছে। আমরা এনগরকে ড্রাস্টবিনের নগর দেখতে চাইনা,এটাকে একটি পরিচ্ছন্ন,উন্নত ও আদর্শ নগরী হিসেবে দেখতে চাই,এজন্য এখানে কোন অনিয়ম,দায়িত্বে অবহেলা বরদাশত করা হবেনা।
এসময় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষকে সেবা দেয়া আমাদের দায়িত্ব ও কাজ,তাই এলক্ষ্যে সেবার মানসিকতা নিয়ে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্র থেকে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করারও আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান,সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ,সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সভার শুরুতে বিআরটিএ সিলেট অফিসের নানা তথ্য উপস্হাপন করেন বিআরটিএ সিলেটের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জঃ) ডালিম উদ্দিন।