ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছিল, আমরা মাঠের খেলায় মেতেছি: হাবিব-উন-নবী সোহেল সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব সফলে মহানগর যুবদলের প্রচারপত্র বিলি কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপির বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথম দিনের অভিযানে সিলেটে পাঁচজন আটক অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিসিক পরিচালিত হাসপাতাল ও খাল-ছড়া পরিদর্শন করলেন প্রশাসক

দৃষ্টিভংগি ভিন্ন হলেও দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে- কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দৃষ্টিভংগি ভিন্ন হলেও দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভংগি সবার এক নাও হতে পারে। কিন্তু সকলের একটাই লক্ষ্য দেশটা আমাদের সকলের। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

গতকাল ১২ এপ্রিল রাতে খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকার রাস্তার প্রান্তে ১২দিন ব্যাপী বৈসাবি মেলার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষ্যে বৈসাবি মেলা’র এ আয়োজন মানুষের সাথে মানুষের মিলন, সৌহার্দ্র্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আগের চেয়ে আরও সুদৃঢ় করেছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতিকে আবহমানকাল থেকে ধরে রাখার জন্য মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। মার্জিতভাবে সকল ভালো কাজগুলো সকলের উদযাপন করা উচিত। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব একটি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি আছে। আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আমার নিজের পরিচয়। অপসংস্কৃতিকে কোনোভাবেই এখানে ধারণ করা উচিত নয়।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আমি মনে করি, বৈসাবি বা বৈসু উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্র্য ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠবে। সকল ভাষাভাষি ও সকল সংস্কৃতি কৃষ্টির মাঝে ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চান যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী একাকার হয়ে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা পার্বত্যবাসীদের সে লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সেই ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর একক প্রচেষ্টায় নিরসন করেছিলেন। নতুনভাবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সৃষ্টি করা হলে আমাদের আগামি দিনের জন্য হবে অত্যন্ত খারাপ।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, ১৪৩১ বাংলা সনে আমাদের অঙ্গীকার হউক, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হই।

উল্লেখ্য, গত ১ লা এপ্রিল থেকে বৈসাবি উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন হয়। বৈসাবি এ মেলায় বিভিন্ন পাহাড়ি পণ্যসামগ্রীর স্টল দিয়ে পাহাড়ি তরুণ তরুণিরা ১২ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যান্ত মেতে ছিল। এ মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে।

পরে প্রতিমন্ত্রী মেলা উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রবি শংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শানে আলম, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদ কংজরী মারমা।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্টি সমাজ সেবক সুধাকর ত্রিপুরা।

এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন পাজেপ সাবেক প্রসানিক কর্মকর্তা প্রিয় কুমার চাকমা, পৌর কমিশনার মংগনু মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৃষ্টিভংগি ভিন্ন হলেও দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে- কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

আপডেট সময় : ০৩:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দৃষ্টিভংগি ভিন্ন হলেও দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভংগি সবার এক নাও হতে পারে। কিন্তু সকলের একটাই লক্ষ্য দেশটা আমাদের সকলের। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

গতকাল ১২ এপ্রিল রাতে খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকার রাস্তার প্রান্তে ১২দিন ব্যাপী বৈসাবি মেলার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষ্যে বৈসাবি মেলা’র এ আয়োজন মানুষের সাথে মানুষের মিলন, সৌহার্দ্র্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আগের চেয়ে আরও সুদৃঢ় করেছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতিকে আবহমানকাল থেকে ধরে রাখার জন্য মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। মার্জিতভাবে সকল ভালো কাজগুলো সকলের উদযাপন করা উচিত। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব একটি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি আছে। আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আমার নিজের পরিচয়। অপসংস্কৃতিকে কোনোভাবেই এখানে ধারণ করা উচিত নয়।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আমি মনে করি, বৈসাবি বা বৈসু উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্র্য ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠবে। সকল ভাষাভাষি ও সকল সংস্কৃতি কৃষ্টির মাঝে ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চান যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী একাকার হয়ে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা পার্বত্যবাসীদের সে লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সেই ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর একক প্রচেষ্টায় নিরসন করেছিলেন। নতুনভাবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সৃষ্টি করা হলে আমাদের আগামি দিনের জন্য হবে অত্যন্ত খারাপ।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, ১৪৩১ বাংলা সনে আমাদের অঙ্গীকার হউক, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হই।

উল্লেখ্য, গত ১ লা এপ্রিল থেকে বৈসাবি উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন হয়। বৈসাবি এ মেলায় বিভিন্ন পাহাড়ি পণ্যসামগ্রীর স্টল দিয়ে পাহাড়ি তরুণ তরুণিরা ১২ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যান্ত মেতে ছিল। এ মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে।

পরে প্রতিমন্ত্রী মেলা উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রবি শংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শানে আলম, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদ কংজরী মারমা।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্টি সমাজ সেবক সুধাকর ত্রিপুরা।

এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন পাজেপ সাবেক প্রসানিক কর্মকর্তা প্রিয় কুমার চাকমা, পৌর কমিশনার মংগনু মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।