ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট পারিবারিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অপপ্রচার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন যুব মহিলালীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু ! মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস সিলেটের কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন সহ ৩ জন গ্রেফতার চামেলীবাগ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫-এর উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত সড়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সিলেটের ৩ কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতার বৈঠক শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার কুখ্যাত “বুলেট মামুন” ও তার সহযোগী ০২ (দুই) জন গ্রেফতার বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল এর উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন সিলেটে যানজট নিরসনে টেকসই সমাধান: এনসিপির ২৭ দফা প্রস্তাবনা

ঠাকুরগাঁওয়ে সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর করলেন এক বৃদ্ধ

মোঃ আবুল হাসান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

বছরের পর বছর ঘুরেও কোন সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর করেছে।

সোমবার (১৩ মে) সকালে শুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ এ ঘটনা ঘটায়। তবে এ ঘটনার পর হেল্পডেস্কের দায়িত্বরা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

অভিযুক্ত ব্যাক্তি শুশান্ত কুমার দাস সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ শুশান্ত দাস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় তার মুখে শোনা গেছে হেল্পডেস্ক থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কেউ আমার কথা শুনে না, উত্তর দেয় না। বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তার পরেও কোন সমাধান নাই। সেই হেল্পডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। আমি রাখব না এই হেল্পডেস্ক।

এমন কথা শেষ হতে না হতেই ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে গ্লাস ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পারিবারের স্বজনরা জানান,২০১৩ সালে থেকে শুশান্ত কুমার দাস জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচ তলায় হেল্পডেস্ক শাখায় সহযোগীতা চান। কিন্তু আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা। এভাবে তিনি ১১ বছর ধরে হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘুরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে এমনটা করেছেন বলে ধারণা তার পরিবারের লোকজনের। এছাড়া তিনি কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন বলেও জানান তারা।

এ ঘটনার পর ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নেটিজনরা বিভিন্ন মন্তব্যের ঝড় তুলেন।

তারা লিখেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যারা চাকরি করে। তারা নিজেদের জমিদার মনে করেন। কোন পরামর্শ বা সহযোগিতার জন্য গেলে তা সহজেই মিলেনা। কোন কিছু বললে সঠিক উত্তর দেয় না। এখন ব্যস্ত আছি বলে তাড়িয়ে দেয়। ডিসি মহোদয়ের কাছে তো দূরে থাক বারান্দায় উঠতে দেয় না কর্মচারীরা।

আরেকজন লিখেন, নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি ডিসি অফিসের কোন ব্যক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বা কোন সহযোগিতা পাইনি। তাই হয়তো রাগে ক্ষোভে তিনি ভাঙচুর করেছেন। এমন নানা মন্তব্য করেন নেটিজনেরা।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন ভাঙচুর করেছে তা এখনোই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই নাসির উদ্দীন (২৫) নামে এক যুবক জেলা প্রশাসকের প্রবেশদ্বারের কেঁচিগেটের তালা ভেঙে বেলচা দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ডিসির কক্ষসহ অফিসের ১০টি রুমের ৩১টি দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় তাকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন পুলিশের এক কর্মকর্তা।

গেল দু বছরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুই বার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। যা অনাকাঙ্ক্ষিতের কথা জানিয়ে নিরাপত্তার অভাবকে দায়ি করছেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর করলেন এক বৃদ্ধ

আপডেট সময় : ০২:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

বছরের পর বছর ঘুরেও কোন সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর করেছে।

সোমবার (১৩ মে) সকালে শুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ এ ঘটনা ঘটায়। তবে এ ঘটনার পর হেল্পডেস্কের দায়িত্বরা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

অভিযুক্ত ব্যাক্তি শুশান্ত কুমার দাস সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ শুশান্ত দাস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় তার মুখে শোনা গেছে হেল্পডেস্ক থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কেউ আমার কথা শুনে না, উত্তর দেয় না। বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তার পরেও কোন সমাধান নাই। সেই হেল্পডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। আমি রাখব না এই হেল্পডেস্ক।

এমন কথা শেষ হতে না হতেই ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে গ্লাস ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পারিবারের স্বজনরা জানান,২০১৩ সালে থেকে শুশান্ত কুমার দাস জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচ তলায় হেল্পডেস্ক শাখায় সহযোগীতা চান। কিন্তু আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা। এভাবে তিনি ১১ বছর ধরে হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘুরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে এমনটা করেছেন বলে ধারণা তার পরিবারের লোকজনের। এছাড়া তিনি কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন বলেও জানান তারা।

এ ঘটনার পর ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নেটিজনরা বিভিন্ন মন্তব্যের ঝড় তুলেন।

তারা লিখেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যারা চাকরি করে। তারা নিজেদের জমিদার মনে করেন। কোন পরামর্শ বা সহযোগিতার জন্য গেলে তা সহজেই মিলেনা। কোন কিছু বললে সঠিক উত্তর দেয় না। এখন ব্যস্ত আছি বলে তাড়িয়ে দেয়। ডিসি মহোদয়ের কাছে তো দূরে থাক বারান্দায় উঠতে দেয় না কর্মচারীরা।

আরেকজন লিখেন, নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি ডিসি অফিসের কোন ব্যক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বা কোন সহযোগিতা পাইনি। তাই হয়তো রাগে ক্ষোভে তিনি ভাঙচুর করেছেন। এমন নানা মন্তব্য করেন নেটিজনেরা।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন ভাঙচুর করেছে তা এখনোই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই নাসির উদ্দীন (২৫) নামে এক যুবক জেলা প্রশাসকের প্রবেশদ্বারের কেঁচিগেটের তালা ভেঙে বেলচা দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ডিসির কক্ষসহ অফিসের ১০টি রুমের ৩১টি দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় তাকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন পুলিশের এক কর্মকর্তা।

গেল দু বছরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুই বার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। যা অনাকাঙ্ক্ষিতের কথা জানিয়ে নিরাপত্তার অভাবকে দায়ি করছেন স্থানীয়রা।