ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আটক

- আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ছানুর বাড়ীতে হামলা ভাংচুর, লুটপাট ও পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
৫ মার্চ বুধবার শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আটকদের ২ জনের বিরুদ্ধে অতীতে হত্যা ও ডাকাতি মামলা ও ২০২৪ ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা কালনীচর বাজারে প্রবাসী আব্দুল হক ছানু’র মালিকানাধীন মার্কেটসহ বাড়ির সম্পত্তি দখল করে আসছে ১৭ বছর থেকেই। সম্প্রতি মামলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ছানুর পক্ষে রায় আসে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকার আওয়ামীলীগের হাসিদ উল্লার পুত্র জুনাইদ, রুকম উল্লার পুত্র আকাইদ গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। সেই ঘটনার জের ধরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে গ্রামে মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশের মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে প্রবাসীর বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালানো। তখন একই গ্রামের মৃত ফাজির আলীর পুত্র খসরু মিয়া, জাতীয় জরুরী সেবা “৯৯৯” এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে দ্রুত ওসমানীনগর থানা পুলিশের এস আই মোঃ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রামে ডাকাত প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত হতে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে যান। সেখানে ইমাম সাহেবকে না পেয়ে জরুরী সেবায় কল দেওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পুলিশ। এমতাবস্থায় একই গ্রামের আব্দুর রাহিমের পুত্র হাজী আব্দুল বাশির, ইসমাইল আলীর পুত্র আব্দুল করিম, হাসিদ উল্লার পুত্র জুনাইদ এবং রুকম উল্লার পুত্র আকাইদ সহ সংঘবদ্ধভাবে ২০/৫০ জনের গ্রুপ পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় এস আই মুজিবুর রহমান সহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত আহত হন।
এ ঘটনায় এস আই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ১ মার্চ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা ৫ মার্চ বুধবার আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত ১২ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেন আদেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কালনীরচর গ্রামের আশিক মিয়া পুত্র ফাহিম আহমদ ধন মিয়া (২৮), মৃত আরজদ উল্লাহ পুত্র সোহেল মিয়া (৩৫), মাবারক হোসেন মেন্দী মিয়ার পুত্র এমরান আহমদ (২৩), মইরুফ উল্লার পুত্র সুলেমান (৩৫), পিতা-মৃত নজির উদ্দিনের পুত্র বোরহান উদ্দিন (৩২), আহার উদ্দিন (২৮),জহির উল্লার পুত্র দুলাল মিয়া (৪৫), মৃত ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র আলাল মিয়া (২৩), বিলাল মিয়া (১৮), লুদু মিয়া পুত্র কুকিলা (৩২), সমর মিয়ার পুত্র ছুফি মিয়া (৪০) নজির উদ্দিনের পুত্র বাহার মিয়া (২৫) সর্ব সাং-কালনিরচর।
এছাড়া হাসিদ উল্লার পুত্র জুনাইদ, রুকম উল্লার পুত্র আকাইদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতি মামলা সহ ২৪ এর ছাত্র জনতার হামলার মামলা হয়েছে অভিযোগ রয়েছে।