ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ২৭ রাউন্ড কার্তুজসহ ২ জন গ্রেফতার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোতোয়ালী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের মানবিক কার্যক্রম তারেক রহমান দেশে না ফিরলেও নির্বাচন স্থগিত হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আবুধাবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি রুবেল আহমদের মৃত্যু: পরিবারে শোকের মাতম ! এনইআইআর সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে সিলেটে মোবাইল ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল কেন্দ্র তিনদিন পর দু-একটা কথা বললেন খালেদা জিয়া, শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন ! বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতার কামনায় দোয়া মাহফিল বন্ধুর ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরল তপু ! সিলেট মহানগর বিএনপিতে ফের পদ ফিরে পেলেন সভাপতি নাসিম হোসাইন ! 

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নেয়ার অভিযোগ

টাঙাইল প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ২৫১ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যালয়ে মেয়েকে গালিগালাজের বিচার চাইতে আসা প্রতিবেশী এক নারীকে মারধর করেছেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। চেয়ারম্যানের মারধরের ওই ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আজ তিনদিন পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় ও নিন্দার ঝড় বইছে।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার (৩৫) ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ও অপর প্রতিবেশী রুবেলের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলার কালিদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগ ও জেসমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেসমিন আক্তার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও জেসমিনের মেয়ের মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে জেসমিনের মেয়েকে গালিগালাজ করেন।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েকে হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। তারা এলোপাতারি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীরে জখম করেছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে। আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও কখন ব্যবস্হা নেয়া হবে এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যালয়ে মেয়েকে গালিগালাজের বিচার চাইতে আসা প্রতিবেশী এক নারীকে মারধর করেছেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। চেয়ারম্যানের মারধরের ওই ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আজ তিনদিন পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় ও নিন্দার ঝড় বইছে।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার (৩৫) ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ও অপর প্রতিবেশী রুবেলের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলার কালিদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগ ও জেসমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেসমিন আক্তার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও জেসমিনের মেয়ের মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে জেসমিনের মেয়েকে গালিগালাজ করেন।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েকে হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। তারা এলোপাতারি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীরে জখম করেছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে। আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও কখন ব্যবস্হা নেয়া হবে এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।