ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা এলজিইডিই হচ্ছে গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বাজার ব্যবস্থাপনায় শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে মাত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

সিলেটে বৈধভাবে রিকশা চলাচলে অনুমতি ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি প্রদান, এসব রিকশা চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা ও গরীব অসহায় রিকশাচালকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে টাকা পয়সা আদায় করা সহ রেকার করা রিকশা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততি তথা পরিবার পরিজন নিয়ে বৈধভাবে রিকশা চালিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

রোববার (৯ জুন) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ধানিছ মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ব্যাটারী চালিত রিকশা সহ এরকম অন্যান্য যানবাহন বিচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে। সিলেটেও তারা শত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সিলেট মহানগরীর অলি গলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে যাত্রীসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ক্ষুধার জ¦ালায় বাধ্য হয়ে এসব রিকশার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ না পেয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে রিকশা চালানোকে শেষ অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। উচ্চ শিক্ষিত অনেক বেকার যুবকরাও জিবীকার তাগিদে এসব রিকশা চালিয়ে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন। বিপথগামী অনেক যুবকও ভুল পথ ছেড়ে এসব রিকশা চালিয়ে রোজগার করে পরিবারকে সাহায্য করছেন। 

ধানিছ মিয়া বলেন, দূঃখজনক হলেও সত্য যে, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের জন্য কোন লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদান করা হচ্ছেনা। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের বৈধতা পেতে ইতোমধ্যে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও কোন ফল পাননি। 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করলে বলা হয়, বিআরটিএ অফিসে যেতে। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ বলেন, সিটি কর্পোরেশনে যেতে। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে মানবিক কারণে সহযোগিতার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, এসএমপি কমিশনার, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সিসিকের কাউন্সিলরবৃন্দকে পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেন তারা। এসব আবেদনে মানবিক কারণে রিকশা চলাচলের নীতিমালা প্রনয়ন সহ বৈধতা প্রদান করে লাইসেন্স প্রদানের ব্যাপরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কয়েকমাস ধরে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক অলিগলিতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছেনা। উপরন্ত রিকশা আটক করে টোকেন দিয়ে ৫ শত টাকা এবং একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে ২৫০০ টাকা গরীব রিকশা চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। যার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।

সংবাদ তারা আরও বলেন, পুলিশের সোর্স দাবি করে কিছু যুবক ট্রাফিক পুলিশের নামে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এসব কর্মকান্ড হচ্ছে পুলিশের সামনেই। মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ গরীব অসহায় মানুষের আশা ভরসার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মানবিক কারনে তাদের কষ্টের কথাগুলো যেন তিনি সু-বিবেচনা করেন।সাম্প্রতিককালে ঢাকায় রিকশা শ্রমিকরা রিকশা চলাচলের বৈধতা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি মজলুম অসহায় এসব গরীবদের কর্মসংস্থানের এই বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বিদ্যুৎ চুরি আর অপচয় হয়। এখানে শুধু সাধারণ রিকশা চালকদের জন্য বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে বিষয়টিও বিবেচনায় এনে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তারা। তাছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার অনেক যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। আর এসব যন্ত্রাংশ মার্কেট থেকে কিনে রিকশা তৈরি হয়। অথচ তারা এসব যন্ত্রাংশ কিনে রিকশা তৈরি করলেও তা অবৈধ বলে আখ্যায়িত করা হয়। 

নেতৃবৃন্দ বৈধভাবে রিকশা চালাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন সহ তাদের একটি নীতিমালার আওতায় এনে সৎভাবে প্ররিশ্রম করে জীবন যাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সাহায্য- সহযোগিতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটে বৈধভাবে রিকশা চলাচলে অনুমতি ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি প্রদান, এসব রিকশা চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা ও গরীব অসহায় রিকশাচালকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে টাকা পয়সা আদায় করা সহ রেকার করা রিকশা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততি তথা পরিবার পরিজন নিয়ে বৈধভাবে রিকশা চালিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

রোববার (৯ জুন) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ধানিছ মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ব্যাটারী চালিত রিকশা সহ এরকম অন্যান্য যানবাহন বিচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে। সিলেটেও তারা শত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সিলেট মহানগরীর অলি গলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে যাত্রীসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ক্ষুধার জ¦ালায় বাধ্য হয়ে এসব রিকশার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ না পেয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে রিকশা চালানোকে শেষ অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। উচ্চ শিক্ষিত অনেক বেকার যুবকরাও জিবীকার তাগিদে এসব রিকশা চালিয়ে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন। বিপথগামী অনেক যুবকও ভুল পথ ছেড়ে এসব রিকশা চালিয়ে রোজগার করে পরিবারকে সাহায্য করছেন। 

ধানিছ মিয়া বলেন, দূঃখজনক হলেও সত্য যে, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের জন্য কোন লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদান করা হচ্ছেনা। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের বৈধতা পেতে ইতোমধ্যে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও কোন ফল পাননি। 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করলে বলা হয়, বিআরটিএ অফিসে যেতে। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ বলেন, সিটি কর্পোরেশনে যেতে। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে মানবিক কারণে সহযোগিতার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, এসএমপি কমিশনার, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সিসিকের কাউন্সিলরবৃন্দকে পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেন তারা। এসব আবেদনে মানবিক কারণে রিকশা চলাচলের নীতিমালা প্রনয়ন সহ বৈধতা প্রদান করে লাইসেন্স প্রদানের ব্যাপরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কয়েকমাস ধরে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক অলিগলিতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছেনা। উপরন্ত রিকশা আটক করে টোকেন দিয়ে ৫ শত টাকা এবং একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে ২৫০০ টাকা গরীব রিকশা চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। যার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।

সংবাদ তারা আরও বলেন, পুলিশের সোর্স দাবি করে কিছু যুবক ট্রাফিক পুলিশের নামে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এসব কর্মকান্ড হচ্ছে পুলিশের সামনেই। মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ গরীব অসহায় মানুষের আশা ভরসার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মানবিক কারনে তাদের কষ্টের কথাগুলো যেন তিনি সু-বিবেচনা করেন।সাম্প্রতিককালে ঢাকায় রিকশা শ্রমিকরা রিকশা চলাচলের বৈধতা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি মজলুম অসহায় এসব গরীবদের কর্মসংস্থানের এই বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বিদ্যুৎ চুরি আর অপচয় হয়। এখানে শুধু সাধারণ রিকশা চালকদের জন্য বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে বিষয়টিও বিবেচনায় এনে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তারা। তাছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার অনেক যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। আর এসব যন্ত্রাংশ মার্কেট থেকে কিনে রিকশা তৈরি হয়। অথচ তারা এসব যন্ত্রাংশ কিনে রিকশা তৈরি করলেও তা অবৈধ বলে আখ্যায়িত করা হয়। 

নেতৃবৃন্দ বৈধভাবে রিকশা চালাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন সহ তাদের একটি নীতিমালার আওতায় এনে সৎভাবে প্ররিশ্রম করে জীবন যাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সাহায্য- সহযোগিতা কামনা করেন।