ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুদকের মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে বিএনপির ছয় শীর্ষ নেতাসহ নয়জনকে অব্যাহতি মরহুম এম সাইফুর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ছিলেন: শামসুজ্জামান দুদু দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পথিকৃৎ ছিলেন এম সাইফুর রহমান: ইমদাদ চৌধুরী পটপরিবর্তনের পর থেকে বায়তুল মোকাররমের খতিবের বর্তমান অবস্থান গোপালগঞ্জে ! অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের খবর গুজব, শিগগির আঁধার কেটে যাবে :বাহাউদ্দিন নাছিম দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে শামীম ওসমান ! স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বার ও ব্যাঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে -সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নবগঠিত অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে সিলেট মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্বকে আরিফুল হক চৌধুরীর অভিনন্দন নবনির্বাচিত অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে খন্দকার মুক্তাদিরের অভিনন্দন

সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে: মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

তারেক আহমদ খান
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন্যার কারণগুলো খুজে বের করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রয়োজনে বুয়েট, শাবিসহ বন্যা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার করে একটি সুপারিশমালা তৈরী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সিলেট নগরীতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, চলমান বন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিসিক কতৃর্পক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ—খবর নিচ্ছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বন্যা প্রতিরোধে নদীখননের বিকল্প নেই। জাফলং এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাথরের স্তুপ জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। গত সাত বছর থেকে এই সব নদী হতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন শুরু করা যায় কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে হবে।

মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় রান্না করা খাবারসহ ওষুধ সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে। দুর্গত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন, বন্যায় আতংকিত না হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করুন। যাদের বাসায় বৈদুতিক লাইন পানির নিচে ঢুবে গেছে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা নিন। অতীতের মত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নগরবাসীর পাশে আছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

দল মত নির্বিশেষে সম্মিলিত ভাবে এই প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবিলা করতে হবে এবং বৃত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ অন্যান্য কাউন্সিল বৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে: মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন্যার কারণগুলো খুজে বের করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রয়োজনে বুয়েট, শাবিসহ বন্যা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার করে একটি সুপারিশমালা তৈরী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সিলেট নগরীতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, চলমান বন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিসিক কতৃর্পক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ—খবর নিচ্ছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বন্যা প্রতিরোধে নদীখননের বিকল্প নেই। জাফলং এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাথরের স্তুপ জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। গত সাত বছর থেকে এই সব নদী হতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন শুরু করা যায় কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে হবে।

মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় রান্না করা খাবারসহ ওষুধ সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে। দুর্গত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন, বন্যায় আতংকিত না হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করুন। যাদের বাসায় বৈদুতিক লাইন পানির নিচে ঢুবে গেছে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা নিন। অতীতের মত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নগরবাসীর পাশে আছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

দল মত নির্বিশেষে সম্মিলিত ভাবে এই প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবিলা করতে হবে এবং বৃত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ অন্যান্য কাউন্সিল বৃন্দ।