ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
খুলনার সাবেক এমপি রশীদুজ্জামান মোড়ল গ্রেপ্তার বিয়ানীবাজার থানার এসআই আসাদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর অভিযোগ মধ্যরাতে হঠাৎ উত্তপ্ত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়; সড়ক অবরোধ, বখাটে দু’জন আটক সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাবার মৃত্যু, শোক প্রকাশ নেতাকর্মীদের সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের সতকর্তা সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৩৯, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৬৯৮ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর তৌফিক বক্স গ্রেপ্তার জামাতে ইসলামীর রাজনীতি: গাজী আব্দুল কাদির মুকুল সরকারি চাকরিতে পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ

সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

বিগত সরকার ভারত ও সিন্ডিকেটের স্বার্থে পাথর কোয়ারী বন্ধ রেখেছিল।

সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ভারত থেকে পাথর আমদানীর স্বার্থে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ রেখে দেশের ক্ষতি সাধন করেছে।

৮ সেপ্টেম্বর সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- একসময় সিলেটের কোয়ারী সমুহ থেকে আহরিত পাথর দিয়েই দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিচালিত হতো, এ অঞ্চলের লাখো মানুষ পাথর উত্তোলন ও বিপননের সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাদের জীবীকা নির্বাহ করতো। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ অঞ্চলের পাথর কোয়ারীতে পাথর আহরন ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশের কথিত দোহাই দিয়ে এবং পাথর আমদানীতে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেটের মদদে ভারত থেকে পাথর আমদানীর জন্যই সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে এসে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোয়ারী বন্ধ করে দিয়ে ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে পাথর আমদানী। এ ছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অভ্যন্তরে থাকা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়ের মাধ্যমে জাহাজে করে সম্দ্রু পথে পাথর আমদানী শুরু করে। বিগত সরকারের আমলে পাথর আমদানীর নামে তৎকালীন সরকারের মদদপুষ্টরা কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করতে সক্ষম হয়। দেশের স্থানীয় কোয়ারীর উন্নতমানের পাথর থাকা সত্ত্বেও রিজার্ভের ডলারের অপচয় করে ভারত থেকে নিম্নমানের লাইমস্টোন আমদানী করে তা দিয়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিচালনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়- সিলেটের পাথর কোয়ারী বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এ অঞ্চলের লাখো মানুষের জীবন জীবীকায় মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। কোয়ারী অধ্যুষিত প্রান্তিক জনপদে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলো তাদের রোজগার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে সিলেটের বিপন্ন প্রান্তিক মানুষ গুলোকে রক্ষা এবং লাখো মানুষের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে দেবার দাবীতে আন্দোলনরত মানুষগুলোকে বিগত সরকারের সময়ে ব্যাপক ভাবে নাজেহাল করা হয়। সিলেটের সব শ্রেণীর মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক দাবী জানানো হলেও কেবলমাত্র ভারতের স্বার্থের জন্য বিগত সরকার পাথর কোয়ারী খোলে দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হাজারো ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা হারিয়ে ব্যাংকের ঋণখেলাপী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হাজারো পরিবহন মালিক ও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রান্তিক জনপদের কর্মহীন মানুষগুলো বাধ্য হয়ে চুরি ডাকাতি, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছেন। কর্মহীন জনপদে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে পরিবেশসম্মত ভাবে সিলেটের পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে এ অঞ্চলের লাখো মানুষের কর্ম সংস্থান ফিরিয়ে দেবার দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের পাথর কোয়ারী খোলে দেয়ার দাবীতে চলমান বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বির আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক আব্দুল জলিল, সদস্য সচিব ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, আবু জাফর দুলন, মতিউর রহমান, আব্দুল আজিজ, হোসেন নূর, মঈন উদ্দিন মিলন, ফয়সল আহমদ বাদশা, মখলিছুর রহমান, শ্রমিক নেতা সুহেল মিয়া, আনোয়ার সুমন, মোশারফ হোসেন, শামীম উদ্দিন বকসী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০২:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিগত সরকার ভারত ও সিন্ডিকেটের স্বার্থে পাথর কোয়ারী বন্ধ রেখেছিল।

সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ভারত থেকে পাথর আমদানীর স্বার্থে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ রেখে দেশের ক্ষতি সাধন করেছে।

৮ সেপ্টেম্বর সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- একসময় সিলেটের কোয়ারী সমুহ থেকে আহরিত পাথর দিয়েই দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিচালিত হতো, এ অঞ্চলের লাখো মানুষ পাথর উত্তোলন ও বিপননের সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাদের জীবীকা নির্বাহ করতো। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ অঞ্চলের পাথর কোয়ারীতে পাথর আহরন ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশের কথিত দোহাই দিয়ে এবং পাথর আমদানীতে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেটের মদদে ভারত থেকে পাথর আমদানীর জন্যই সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে এসে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী সমুহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোয়ারী বন্ধ করে দিয়ে ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে পাথর আমদানী। এ ছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অভ্যন্তরে থাকা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়ের মাধ্যমে জাহাজে করে সম্দ্রু পথে পাথর আমদানী শুরু করে। বিগত সরকারের আমলে পাথর আমদানীর নামে তৎকালীন সরকারের মদদপুষ্টরা কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করতে সক্ষম হয়। দেশের স্থানীয় কোয়ারীর উন্নতমানের পাথর থাকা সত্ত্বেও রিজার্ভের ডলারের অপচয় করে ভারত থেকে নিম্নমানের লাইমস্টোন আমদানী করে তা দিয়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিচালনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়- সিলেটের পাথর কোয়ারী বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এ অঞ্চলের লাখো মানুষের জীবন জীবীকায় মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। কোয়ারী অধ্যুষিত প্রান্তিক জনপদে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলো তাদের রোজগার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে সিলেটের বিপন্ন প্রান্তিক মানুষ গুলোকে রক্ষা এবং লাখো মানুষের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে দেবার দাবীতে আন্দোলনরত মানুষগুলোকে বিগত সরকারের সময়ে ব্যাপক ভাবে নাজেহাল করা হয়। সিলেটের সব শ্রেণীর মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক দাবী জানানো হলেও কেবলমাত্র ভারতের স্বার্থের জন্য বিগত সরকার পাথর কোয়ারী খোলে দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হাজারো ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা হারিয়ে ব্যাংকের ঋণখেলাপী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হাজারো পরিবহন মালিক ও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রান্তিক জনপদের কর্মহীন মানুষগুলো বাধ্য হয়ে চুরি ডাকাতি, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছেন। কর্মহীন জনপদে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে পরিবেশসম্মত ভাবে সিলেটের পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে এ অঞ্চলের লাখো মানুষের কর্ম সংস্থান ফিরিয়ে দেবার দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের পাথর কোয়ারী খোলে দেয়ার দাবীতে চলমান বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বির আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক আব্দুল জলিল, সদস্য সচিব ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, আবু জাফর দুলন, মতিউর রহমান, আব্দুল আজিজ, হোসেন নূর, মঈন উদ্দিন মিলন, ফয়সল আহমদ বাদশা, মখলিছুর রহমান, শ্রমিক নেতা সুহেল মিয়া, আনোয়ার সুমন, মোশারফ হোসেন, শামীম উদ্দিন বকসী প্রমুখ।