ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতির জনক- গাজী আব্দুল কাদির মুকুল সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন এসজিএমএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল আট জন বিশিষ্ট ব্যক্তি পাচ্ছেন ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হযরত শাহজালাল (র) কামিল মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট দুই লক্ষ টাকা প্রদান হাসান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ সিলেট কতোয়ালী থানার অভিযানে জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য বাবুল আহমদ গ্রেফতার ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আটক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরকান আহমদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান

ধর্ষণের দায়ে নাসির খান সহ ৪ জন আওয়ামিলীগ নেতা শিলং পুলিশের হাতে আটক

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের কলিকাতায় ধর্ষণের দায়ে সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন খান সহ সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।

রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।

এছাড়া অন্য পলাতকরা হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।

শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

সূত্রে আরো জানা গেছে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির খান, আলম খান মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে অপর একটি সূত্র বলেছে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা নাসির খান ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ধর্ষণের দায়ে নাসির খান সহ ৪ জন আওয়ামিলীগ নেতা শিলং পুলিশের হাতে আটক

আপডেট সময় : ০৩:০২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের কলিকাতায় ধর্ষণের দায়ে সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন খান সহ সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।

রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।

এছাড়া অন্য পলাতকরা হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।

শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

সূত্রে আরো জানা গেছে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির খান, আলম খান মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে অপর একটি সূত্র বলেছে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা নাসির খান ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।