ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত গণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা ভারতে অরাজকতা চরম;দুই সেনা কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে ভারত অসত্য উপস্থাপন করেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারত তাদের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করেছে। 

‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ের আয়োজন করে সিপিডি। সভায় মূলত সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে মূল বক্তব্য দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’র জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে। 

তিনি বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়। আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে ভারত অসত্য উপস্থাপন করেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারত তাদের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করেছে। 

‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ের আয়োজন করে সিপিডি। সভায় মূলত সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে মূল বক্তব্য দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’র জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে। 

তিনি বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়। আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।