ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছিল, আমরা মাঠের খেলায় মেতেছি: হাবিব-উন-নবী সোহেল সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব সফলে মহানগর যুবদলের প্রচারপত্র বিলি কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপির বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথম দিনের অভিযানে সিলেটে পাঁচজন আটক অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিসিক পরিচালিত হাসপাতাল ও খাল-ছড়া পরিদর্শন করলেন প্রশাসক

ময়মনসিংহে সৎ ছেলের কোমরের বেল্টের আঘাতে বাবার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহে সৎ ছেলের কোমরের বেল্টের আঘাতে জুলকাস উদ্দিন (৫২) নামে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) পলাতক রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালিবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জুলকাস নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়ির ফয়জুদ্দিনের ছেলে। জুলকাস দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে কালিবাড়িতে বসবাস করতেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, নিহত জুলকাস দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে দুই ছেলেসহ (সৎ) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের খোরশেদা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে সে খোরশেদা খাতুনের বাড়িতে বসবাস করতেন। খোরশেদা খাতুনের ঘরে জুলকাসের ঔরসজাত কোনো সন্তান ছিল না। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৪ মেয়ে আছে। তারা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন। নিহত জুলকাস ওয়েল্ডিং’র দোকানে মিস্ত্রী হিসাবে কাজ করতেন। সেখান থেকে জুলকাস ৭০ হাজার টাকা পান।

ঘটনার দিন সকালে খোরশেদা বেগমের ছোট ছেলে মায়ের কাছে ওই ৭০ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মারধর করার হুমকি দেয়। তখন জুলকাস ঘর থেকে বের হয়ে বলে তোর মাকে না মেরে পারলে আমাকে মার। তখন ফয়সাল কোমরের বেল্ট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাত কানের উপরে লাগে। এরপর জুলকাস হেঁটে কয়েকগজ যেতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফয়সাল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কোতোয়ালী মডেল উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম কুমার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাবা ছেলে দু’জনই মাদকাসক্ত ছিল। ছেলে ফয়সালের নামে আগের আরও দুটি মামলা রয়েছে।

এদিকে ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে ছেলে ফয়সাল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ময়মনসিংহে সৎ ছেলের কোমরের বেল্টের আঘাতে বাবার মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

ময়মনসিংহে সৎ ছেলের কোমরের বেল্টের আঘাতে জুলকাস উদ্দিন (৫২) নামে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) পলাতক রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালিবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জুলকাস নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়ির ফয়জুদ্দিনের ছেলে। জুলকাস দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে কালিবাড়িতে বসবাস করতেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, নিহত জুলকাস দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে দুই ছেলেসহ (সৎ) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের খোরশেদা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে সে খোরশেদা খাতুনের বাড়িতে বসবাস করতেন। খোরশেদা খাতুনের ঘরে জুলকাসের ঔরসজাত কোনো সন্তান ছিল না। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৪ মেয়ে আছে। তারা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন। নিহত জুলকাস ওয়েল্ডিং’র দোকানে মিস্ত্রী হিসাবে কাজ করতেন। সেখান থেকে জুলকাস ৭০ হাজার টাকা পান।

ঘটনার দিন সকালে খোরশেদা বেগমের ছোট ছেলে মায়ের কাছে ওই ৭০ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মারধর করার হুমকি দেয়। তখন জুলকাস ঘর থেকে বের হয়ে বলে তোর মাকে না মেরে পারলে আমাকে মার। তখন ফয়সাল কোমরের বেল্ট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাত কানের উপরে লাগে। এরপর জুলকাস হেঁটে কয়েকগজ যেতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফয়সাল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কোতোয়ালী মডেল উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম কুমার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাবা ছেলে দু’জনই মাদকাসক্ত ছিল। ছেলে ফয়সালের নামে আগের আরও দুটি মামলা রয়েছে।

এদিকে ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে ছেলে ফয়সাল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।