ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত গণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা ভারতে অরাজকতা চরম;দুই সেনা কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা

ফাইলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোখরো’র ছোবলে মহিলা পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

হাসপাতালে ছিল না সাপে কাটার প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনাম। আর সে কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত কিশনগঞ্জের টেরাগছ থানায়। মৃত মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম শান্তি কুমারী। বয়স ২৪। ২০১৮ ব্যাচের এই কনস্টেবল বিহারের ছাপড়ার মসরক এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার মৃত এই পুলিশকর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পুলিশমহলে।

জানা গেছে, এদিন বিকেল চারটা নাগাদ থানার আলমারিতে থাকা একটি ফাইল খুঁজতে যান শান্তি কুমারী। সেই সময়ই আলমারির ভিতরে থাকা একটি বিষধর সাপ ডান হাতের আঙুলে ছোবল দেয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান থানার আইসি ধনজী কুমারকে। আর সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যায় নিকটবর্তী টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে সাপ কাটার অ্যান্টি ভেনাম না থাকায় তড়িঘড়ি তাঁকে কিশনগঞ্জের বেসরকারি এমজিএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা নাগাদ। ততক্ষনে সব শেষ। সেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কনস্টেবল শান্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মহলা কনস্টেবলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র মহকুমা শাসক লতিফুর রহমান আনসারী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। ময়নাতদন্তের পর মৃত পুলিশ সদস্যের দেহটি শুক্রবার সকালে নিয়ে আসা হয় কিশনগঞ্জ পুলিশ লাইনে। সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার জানান, সাপের কামড়ে টেরাগছ থানার পুলিশ সদস্য শান্তি কুমারীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। সাপে কাটার প্রতিষেধক টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলে প্রাণ হারাতে হত না শান্তি কুমারীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফাইলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোখরো’র ছোবলে মহিলা পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

হাসপাতালে ছিল না সাপে কাটার প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনাম। আর সে কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত কিশনগঞ্জের টেরাগছ থানায়। মৃত মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম শান্তি কুমারী। বয়স ২৪। ২০১৮ ব্যাচের এই কনস্টেবল বিহারের ছাপড়ার মসরক এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার মৃত এই পুলিশকর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পুলিশমহলে।

জানা গেছে, এদিন বিকেল চারটা নাগাদ থানার আলমারিতে থাকা একটি ফাইল খুঁজতে যান শান্তি কুমারী। সেই সময়ই আলমারির ভিতরে থাকা একটি বিষধর সাপ ডান হাতের আঙুলে ছোবল দেয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান থানার আইসি ধনজী কুমারকে। আর সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যায় নিকটবর্তী টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে সাপ কাটার অ্যান্টি ভেনাম না থাকায় তড়িঘড়ি তাঁকে কিশনগঞ্জের বেসরকারি এমজিএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা নাগাদ। ততক্ষনে সব শেষ। সেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কনস্টেবল শান্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মহলা কনস্টেবলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র মহকুমা শাসক লতিফুর রহমান আনসারী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। ময়নাতদন্তের পর মৃত পুলিশ সদস্যের দেহটি শুক্রবার সকালে নিয়ে আসা হয় কিশনগঞ্জ পুলিশ লাইনে। সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার জানান, সাপের কামড়ে টেরাগছ থানার পুলিশ সদস্য শান্তি কুমারীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। সাপে কাটার প্রতিষেধক টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলে প্রাণ হারাতে হত না শান্তি কুমারীকে।