ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সিলেটবাসীকে নাহিদ আহমদ শুভেচ্ছা ধুমপান নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা অপরিহার্য -ড. মুস্তাফিজুর রহমান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা চালকের হাতে বিমানের টিকেট তুলে দিলেন কয়েস লোদী সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য হলেন ১৬ জন সাংবাদিক আওয়ামীলীগের ডিএনএ-তে গণতন্ত্র নাই – সালাউদ্দিন আহমদ বরখাস্ত/অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি এবার শাহজালাল মাজারের ওরসে অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ হবে না : এসএমপি কমিশনার বিপিজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বী নির্বাচিত কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ০৬ (ছয়) ডাকাত গ্রেফতারঃ

ফাইলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোখরো’র ছোবলে মহিলা পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

হাসপাতালে ছিল না সাপে কাটার প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনাম। আর সে কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত কিশনগঞ্জের টেরাগছ থানায়। মৃত মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম শান্তি কুমারী। বয়স ২৪। ২০১৮ ব্যাচের এই কনস্টেবল বিহারের ছাপড়ার মসরক এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার মৃত এই পুলিশকর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পুলিশমহলে।

জানা গেছে, এদিন বিকেল চারটা নাগাদ থানার আলমারিতে থাকা একটি ফাইল খুঁজতে যান শান্তি কুমারী। সেই সময়ই আলমারির ভিতরে থাকা একটি বিষধর সাপ ডান হাতের আঙুলে ছোবল দেয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান থানার আইসি ধনজী কুমারকে। আর সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যায় নিকটবর্তী টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে সাপ কাটার অ্যান্টি ভেনাম না থাকায় তড়িঘড়ি তাঁকে কিশনগঞ্জের বেসরকারি এমজিএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা নাগাদ। ততক্ষনে সব শেষ। সেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কনস্টেবল শান্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মহলা কনস্টেবলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র মহকুমা শাসক লতিফুর রহমান আনসারী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। ময়নাতদন্তের পর মৃত পুলিশ সদস্যের দেহটি শুক্রবার সকালে নিয়ে আসা হয় কিশনগঞ্জ পুলিশ লাইনে। সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার জানান, সাপের কামড়ে টেরাগছ থানার পুলিশ সদস্য শান্তি কুমারীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। সাপে কাটার প্রতিষেধক টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলে প্রাণ হারাতে হত না শান্তি কুমারীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফাইলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোখরো’র ছোবলে মহিলা পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

হাসপাতালে ছিল না সাপে কাটার প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনাম। আর সে কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত কিশনগঞ্জের টেরাগছ থানায়। মৃত মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম শান্তি কুমারী। বয়স ২৪। ২০১৮ ব্যাচের এই কনস্টেবল বিহারের ছাপড়ার মসরক এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার মৃত এই পুলিশকর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পুলিশমহলে।

জানা গেছে, এদিন বিকেল চারটা নাগাদ থানার আলমারিতে থাকা একটি ফাইল খুঁজতে যান শান্তি কুমারী। সেই সময়ই আলমারির ভিতরে থাকা একটি বিষধর সাপ ডান হাতের আঙুলে ছোবল দেয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান থানার আইসি ধনজী কুমারকে। আর সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যায় নিকটবর্তী টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে সাপ কাটার অ্যান্টি ভেনাম না থাকায় তড়িঘড়ি তাঁকে কিশনগঞ্জের বেসরকারি এমজিএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা নাগাদ। ততক্ষনে সব শেষ। সেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কনস্টেবল শান্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কিশনগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মহলা কনস্টেবলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র মহকুমা শাসক লতিফুর রহমান আনসারী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। ময়নাতদন্তের পর মৃত পুলিশ সদস্যের দেহটি শুক্রবার সকালে নিয়ে আসা হয় কিশনগঞ্জ পুলিশ লাইনে। সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার জানান, সাপের কামড়ে টেরাগছ থানার পুলিশ সদস্য শান্তি কুমারীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। সাপে কাটার প্রতিষেধক টেরাগছ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলে প্রাণ হারাতে হত না শান্তি কুমারীকে।