ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা এলজিইডিই হচ্ছে গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বাজার ব্যবস্থাপনায় শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে মাত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আহমদ নাহিদ
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।