ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত সিলেটে জাসাসের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত সিলেটের শাহী ঈদগাহে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ সামনে রেখে বিশেষ মোনাজাত আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্টদের সাথে কোন আপোষ নেই -মুশফিকুল ফজল অনসারী আগামী মঙ্গলবার সিলেট মহানগর বিএনপির প্রথম সাংগঠনিক সভা সিলেট প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মঈন উদ্দিন সভাপতি ও নাসির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আহমদ নাহিদ
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।