ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সিলেটবাসীকে নাহিদ আহমদ শুভেচ্ছা ধুমপান নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা অপরিহার্য -ড. মুস্তাফিজুর রহমান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা চালকের হাতে বিমানের টিকেট তুলে দিলেন কয়েস লোদী সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য হলেন ১৬ জন সাংবাদিক আওয়ামীলীগের ডিএনএ-তে গণতন্ত্র নাই – সালাউদ্দিন আহমদ বরখাস্ত/অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি এবার শাহজালাল মাজারের ওরসে অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ হবে না : এসএমপি কমিশনার বিপিজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বী নির্বাচিত কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ০৬ (ছয়) ডাকাত গ্রেফতারঃ

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আহমদ নাহিদ
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মূল আসামী রুহুল আমিন চৌধুরী সহ তিনজন পলাতক

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ২; আদালতের রায়

আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রুহুল আমীন চৌধুরী নামে এক যুবক-কে মৃত্যুদন্ড এবং মো. আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে দুই যুবক-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট, ২০২৩) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। নারী-শিশু মামলা নং-১৯৫/২০২২ইং।জি.আর মামলা নং-১৩৭/২০২১ সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. লিয়াকত মিয়া’র বড় মেয়ে আয়েশা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।

এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তাঁর মেয়েকে সবসময় উত্যক্ত করতো। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রতিদিনের মতো সে কোচিং সেন্টারে যায়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করার পরও যখন সে বাসায় আসেনি তখন বাদী লিয়াকত মিয়া শাহপরান থানায় গিয়ে এবিষয়টি অবগত করেন।

পরেরদিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় শাহপরান থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানান যে, ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে একটি কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।বাদী লিয়াকত মিয়া তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ চিহিৃত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী সুমন ও মামুনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, আসামী রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর অপর দুই দুস্কৃতিকারীর সহযোগীতায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আয়েশাকে জোরপূর্বক অপহরন করে এবং তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষনপূর্বক হত্যা করে।

জানা যায়, মূল আসামী রুহুল আমীন চৌধুরীর পিতার নাম মাওলানা এ এফ এম কামাল চৌধুরী, ঠিকানা- চৌধুরী ভিলা, সুরমা-৭, ব্লক-এ, ফোরকান উল্লাহ রোড, নওয়াগাঁও, সাদীপুর-২, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট।এছাড়াও অপর দুই সহযোগী দুস্কৃতিকারী (১) মো. আলা উদ্দিনের পিতার নাম মৃত ছামস উদ্দিন, ঠিকানা- কুচাই, থানা- মোগলাবাজার, জেলা-সিলেট ও (২) আবুল কালামের পিতার নাম মো. মতিন উদ্দিন, ঠিকানা- বাহুবল, থানা: শাহপরান, জেলা-সিলেট। এখন পর্যন্ত তিন আসামী পলাতক রয়েছেন।