ওসমানীনগরে দলিল লেখক আখতার আহমদকে নিয়ে তোলপাড়!

- আপডেট সময় : ০৪:১৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের ওসমানীনগরে গত কয়েক দিন ধরে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতার আহমদকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জাল দলিল সম্পাদন ও জায়াগার শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি একাধিক অনৈতিক কাজের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর একাধিক ভুক্তভোগী তার বিরোদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
তাজপুর সাব-রেজিষ্টার অফিস ও একাধিক ভোক্তভোক্তগী সুত্রে জানাযায়, ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের মৌলভী আব্দুল হকের ছেলে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতার আহমদ। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার বিরোদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানা ও সরকারী খাস ভূমির একাধিক জাল দলিল সম্পাদন সহ ত-শত জায়গার শ্রেণী পরবির্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও নানা জাল-জালিয়াতির ঘটনার অভিযোগ উঠে তার বিরোদ্ধে।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী নিজের ভূয়া শিক্ষাগত সনদ ব্যবহার করে দলিল লেখকের সনদ সংগ্রহের ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় সিলেট জেলা রেজিষ্ট্রার মো.জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আখতার আহমদের দলিল লেখক সনদ নং ৮৯ বাতিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার তৌসিফ আনোয়ার খাঁন। তিনি বলেন এর আগে তার বিরোদ্ধে সিলেটের আদালত ও জেলা সাব রেজিষ্টার অফিসে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল।
এদিকে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর উসমানপুর ইউনিয়নের উসমানপুর গ্রামের মৃত আকলিছ মিয়ার পুত্র মো: শাহীন মিয়া জাল দলিল সম্পাদন,জায়গার শ্রেণী পরবির্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও নানা জাল-জালিয়াতির ঘটনায় সিলেটের জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালীন সময়ে পদোন্নতি জনিত বদলীর কারণে পুলিশ সুপার, পিবিআই, সিলেট এর হাওলামতে এসআই (নিঃ) সুদীপ দাস পূর্ণ তদন্ত করে প্রতিবেদনটি আদালতে প্রেরণের আগেই তারও বদলীর আদেশ আসলে প্রস্তুুতকৃত প্রতিবেদনটি পিভিআই পুলিশের এস আই আবু হানিফ আদালতে প্রেরণ করে অভিযোক্ত আখতার আহমদের বিরোদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। সেই মামলায় উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতার আহমদ বর্তমানে কারাগারে আছেন।