ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা এলজিইডিই হচ্ছে গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বাজার ব্যবস্থাপনায় শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে মাত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী

সিলেটে স্বৈরাচার পতন পরবর্তী সহিংসতার শিকার ছাত্রনেতারা; প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার রেশ এখনো কাটেনি, বিভিন্ন জায়গায় রাজনীতিতে সংযুক্ত নেতা কর্মিদের বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে ছিল লাশ, এই অবস্থায় পরিস্তিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব যাদের সেই পুলিশ কোথাও নেই।

সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। কয়েক শতাধিক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায়, সরকার পতনের পরপরই দুর্বৃত্তরা রাজনীতিতে জড়িত অনেক নেতা কর্মীদের, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কার্যালয়ে হামলা ও লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।

গত ক’দিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট ও অরাজকতা বিস্তৃত করছে। অনেক সাবেক ও বর্তমান রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা চলায়, এসময় দেখা গিয়েছে, যারা এতদিন সরকার দলের সাথে ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই মুখোশ পাল্টে এখন নিজেদের ব্যক্তিগত শত্রুতাকে সহিংসতার রুপ দিয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলের অনেক কর্মীই এখন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের বাসা বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেড়ে হামলা ও লোটপাট চালানো হয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন অপ্রতুলতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা সুযোগ কাজে লাগিযে অনেকের বাসায় হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে করে সিলেটের অনেক নেতা কর্মীই ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হন। এই আক্রমণে সাবেক ছাত্রনেতাদের পরিবারকেই চিহ্নিত করা হয়। এতে সিলেটের কিছু পরিচিত সাবেক ছাত্রনেতা যেমন- রায়হান আহমদ,শরিফ, অনিক তফাদার (ছাত্রদল) মঞ্জু মিয়া, (ছাত্র সংসদ) রকিবুল ইসলাম, (গণ পরিষদ) জালাল হোসেন রাকিন (ছাত্রদল) রাফি চৌধুরি, অমিক সরকার (হিন্দু ছাত্র পারিষদ), রিজোওয়ান আহমেদ। এছাড়া আরও অনেকের বাসায় হামলা, লুটপাট ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। এদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ও এরা যাতে আবার রাজনীতি ময়দানে নিয়মিত না হতে পাড়ে সেই উদ্দ্যেশ্যেই এদের হামলা ঘর বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়।

এই ঐতিহাসিক দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পেতে এইসব গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পুণ্যভূমি সিলেটে রক্ষা করতে হবে। সুস্থ রাজনীতিতে এসব কুসন্তানদের সমাজে স্হান নেই। আশার কথা চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানে এ-সব সামাজিক কীটদের মূলোৎপাটন এটাই সিলেটবাসীর প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটে স্বৈরাচার পতন পরবর্তী সহিংসতার শিকার ছাত্রনেতারা; প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার রেশ এখনো কাটেনি, বিভিন্ন জায়গায় রাজনীতিতে সংযুক্ত নেতা কর্মিদের বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে ছিল লাশ, এই অবস্থায় পরিস্তিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব যাদের সেই পুলিশ কোথাও নেই।

সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। কয়েক শতাধিক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায়, সরকার পতনের পরপরই দুর্বৃত্তরা রাজনীতিতে জড়িত অনেক নেতা কর্মীদের, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কার্যালয়ে হামলা ও লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।

গত ক’দিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট ও অরাজকতা বিস্তৃত করছে। অনেক সাবেক ও বর্তমান রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা চলায়, এসময় দেখা গিয়েছে, যারা এতদিন সরকার দলের সাথে ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই মুখোশ পাল্টে এখন নিজেদের ব্যক্তিগত শত্রুতাকে সহিংসতার রুপ দিয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলের অনেক কর্মীই এখন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের বাসা বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেড়ে হামলা ও লোটপাট চালানো হয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন অপ্রতুলতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা সুযোগ কাজে লাগিযে অনেকের বাসায় হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে করে সিলেটের অনেক নেতা কর্মীই ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হন। এই আক্রমণে সাবেক ছাত্রনেতাদের পরিবারকেই চিহ্নিত করা হয়। এতে সিলেটের কিছু পরিচিত সাবেক ছাত্রনেতা যেমন- রায়হান আহমদ,শরিফ, অনিক তফাদার (ছাত্রদল) মঞ্জু মিয়া, (ছাত্র সংসদ) রকিবুল ইসলাম, (গণ পরিষদ) জালাল হোসেন রাকিন (ছাত্রদল) রাফি চৌধুরি, অমিক সরকার (হিন্দু ছাত্র পারিষদ), রিজোওয়ান আহমেদ। এছাড়া আরও অনেকের বাসায় হামলা, লুটপাট ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। এদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ও এরা যাতে আবার রাজনীতি ময়দানে নিয়মিত না হতে পাড়ে সেই উদ্দ্যেশ্যেই এদের হামলা ঘর বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়।

এই ঐতিহাসিক দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পেতে এইসব গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পুণ্যভূমি সিলেটে রক্ষা করতে হবে। সুস্থ রাজনীতিতে এসব কুসন্তানদের সমাজে স্হান নেই। আশার কথা চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানে এ-সব সামাজিক কীটদের মূলোৎপাটন এটাই সিলেটবাসীর প্রত্যাশা।