ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতির জনক- গাজী আব্দুল কাদির মুকুল সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন এসজিএমএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল আট জন বিশিষ্ট ব্যক্তি পাচ্ছেন ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হযরত শাহজালাল (র) কামিল মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট দুই লক্ষ টাকা প্রদান হাসান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ সিলেট কতোয়ালী থানার অভিযানে জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য বাবুল আহমদ গ্রেফতার ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আটক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরকান আহমদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান

অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল

গাজী আব্দুল কাদির মুকুল
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যেকটি দেশ ও সমাজে কিছু সংখ্যক লোক আছেন যারা দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে ইতিহাসে স্থান করে নেন। কিছু কিছু সময়, তাদের কীর্তি তাদেরকে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়।

বর্তমান সময়ে, এমন এক সম্ভাবনাময় ও উজ্জ্বল নক্ষত্র, কীর্তিমান ব্যক্তি, সিলেটের কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার এম এ সালাম।

তার নামটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে একঝাঁক গুণবাচক বিশেষণ তার নামের পাশে এসে ভিড় করবে, যেমন: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সংগঠক, দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক, কর্মবীর, আরো কত কী! অথচ তিনি নিজেকে এসব বলতে নারাজ। তার একটাই কথা—“আমি শুধু ব্যারিস্টার সালাম, একজন মানুষ।”

হ্যাঁ যারা গুণীজন, তারা নিজেদেরকে এভাবেই আড়াল করতে চান, কিন্তু চাইলেই কি পারা যায়? তার গুণ তাকে লোকসমাজের মাঝে বের করে আনে, সমাজের প্রয়োজনে। দেশপ্রেমিক বরেণ্য ব্যক্তি ব্যারিস্টার এম এ সালাম সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে এখানে কিছু লিখতে গেলে, প্রথমেই বলতে হয়, ছোটবেলা থেকেই তার স্নেহ, আদর, ভালোবাসা ও পরামর্শে বেড়ে উঠেছি, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আমার অগ্রজ অর্থাৎ বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধেয় এক আপনজন। পারিবারিকভাবে আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ। এছাড়া আমাদের উভয়েরই পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায়, ঘনিষ্ঠতার পরিধি আরো বিস্তৃত৷

যাইহোক, ব্যারিস্টার এম এ সালাম সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলা বাজার থানার রায়বান গ্রামে ১৯৬৫ সালে এক মধ্যবিত্ত এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কিংবদন্তি আউলিয়া, কামিল পীর হযরত শেখ বাহার (রহ.)-এর বংশধর বা উত্তরসূরী। ব্যারিস্টার সালামের পিতার নাম আলহাজ্ব মাহমুদ মিয়া এবং মাতার নাম আলহাজ্জা ময়মুন্নেসা খাতুন। পিতা আলহাজ্ব মাহমুদ মিয়া ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি।

তিনি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দীর্ঘদিন গ্রাম সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এছাড়া তিনি এলাকার এক বিশিষ্ট মুরব্বি হিসেবে গ্রাম্য সালিসী বৈঠকে একজন স্বনামধন্য বিচারক ছিলেন। অন্যদিকে, তার মাতা ময়মুন্নেসা খাতুনও একজন ধার্মিক, অতিথি পরায়ণ এবং সজ্জন মহিলা ছিলেন৷ ব্যারিস্টার সালামের সাত ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার সকল ভাই-বোনেরা উচ্চশিক্ষিত এবং তাদের নিজ নিজ পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত। তার সহধর্মিনী রওশনারা সালামও একজন উচ্চশিক্ষিত মহিলা, যিনি বর্তমানে একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কর্মরত।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন স্থানীয় সুনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সেখানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি সৈয়দ কুতুব জালাল জুনিয়র হাই স্কুল থেকে সপ্তম শ্রেণী এবং জালালপুর হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৮১ সালে এমসি কলেজ (বর্তমানে সরকারি কলেজ) ভর্তি হয়ে ১৯৮৪ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরে সিলেট সরকারি কলেজ (বর্তমানে এমসি কলেজ) থেকে ১৯৮৬ সালে ডিগ্রি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরের বছর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং সিলেট জেলা বারের সদস্যপদ লাভ করেন । তিনি সিলেট জেলা বারের একজন আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন এবং একই বছরে সিলেট দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়া, তিনি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যও নিযুক্ত হন।

১৯৯৭ সালে ব্যারিস্টার এম এ সালাম উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে লন্ডন গিল্ডহল ইউনিভার্সিটি (বর্তমানে লন্ডন মেট্রোপলিটন) থেকে এলসিসিআই (LCCI) এবং সিটি এন্ড গিল্ডস থেকে এডাল্ট এডুকেশন ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০১ সালে সেন্ট বনাভেঞ্চার কম্পিউটার টেকনোলজি কলেজ থেকে আইসিটি বিষয়ে কোর্স শেষ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন থেকে এলএলবি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬-০৭ সালে, তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি ইনস অফ কোর্ট স্কুল অব ল’ (ICSL) থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন প্রফেশনাল লিগ্যাল স্কিল (পিজিডিপিএলএস) ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই বছরে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রতিটি স্তরে তিনি তার প্রতিভা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম জাতীয়তাবাদী শক্তির একজন প্রখর আদর্শের মানুষ, যিনি মূলত পারিবারিক প্রভাব থেকেই এই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন। স্কুল জীবনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে যুক্ত হন এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে প্রভাবিত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। কিশোর বয়স থেকেই তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেন এবং সেই চিন্তাধারা, আদর্শ ও বিশ্বাসের আলোকে নিজের রাজনৈতিক জীবন গড়ে তোলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতি সচেতন ছিলেন এবং ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন অভিজ্ঞ নেতা, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ব্যারিস্টার এম এ সালাম দলের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, সিলেট এমসি কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দলের কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রতিটি পদে, তিনি তার সাহসিকতা, নিষ্ঠা এবং নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে দলের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।

শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হওয়ার পর ব্যারিস্টার এম এ সালাম পেশাগত জীবনে প্রবেশ করার আগেই জাতীয়তাবাদী শক্তির গণসংগঠনের একজন বলিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যারিস্টার এম এ সালাম, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বিএনপির পক্ষে সামাজিক, রাজনৈতিক, এনজিও এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়ন সহযোগী এবং গণতন্ত্রপন্থী দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক স্তরে বিএনপির পক্ষে সহযোগিতা এবং মনোযোগ আকর্ষণ করতে নিয়মিত কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন। এছাড়া, ব্যারিস্টার এম এ সালাম বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে নিজের নিজস্ব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। অন্যদিকে জেলা ভিত্তিক রাজনীতিতেও তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জেলা জিয়া ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হলেও, তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের প্রতি নিজের আনুগত্য বজায় রেখে, দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম জাতীয় রাজনীতিতে তার অবদান ধরে রেখেছেন, বিশেষত: যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ৷ ২০১০ সালে, তিনি একটি ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালে একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জাসাসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জিয়া ফোরামের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ শুরু করেন।

উল্লেখ্য, লন্ডনে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যারিস্টার এম এ সালাম কমিউনিটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আন্তর্জাতিক সেবা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন ওয়েলফেয়ার এবং গবেষণামূলক চ্যারিটি সংস্থার সাথে তিনি গভীরভাবে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় নিজেকে নিবেদিত করার পরও, সামাজিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। যাইহোক, বাংলাদেশে সিলেট ও ঢাকায় তার পেশাগত চেম্বার রয়েছে, এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তিনি নিজস্ব চেম্বার পরিচালনা করেন, যা “ইস্ট লন্ডন লো চেম্বার” নামে পরিচিত।

রাজনীতির পাশাপাশি, ব্যারিস্টার এম এ সালাম সামাজিক উন্নয়নেও একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি৷ মেধা, মনন, প্রজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি নৈতিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি সুস্থ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ও মানুষের স্বার্থকে সবার ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে তিনি সচেষ্ট আছেন এবং এতে কখনো তার ক্লান্তিবোধ নেই। সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এইসব উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে, তিনি নিজ এলাকা তথা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সেসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি তার নিবেদন অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে, ব্যারিস্টার এম এ সালাম নিজ অর্থে প্রতিষ্ঠিত ‘ব্যারিস্টার এম এ সালাম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ থেকে বিশেষভাবে রোজার ঈদে ৬০০ স্বল্প আয়ের পরিবারকে ‘ঈদ-আনন্দ’ উপহার প্রদান করেন৷ এছাড়া, শীতকালে তিনি দুস্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, যেমন পূজা-পর্বে, প্রতিবেশীদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে সাহায্য করেছেন। এছাড়া, তার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নিয়মিতভাবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এলাকায় শীতবস্ত্র এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং এলাকার প্রতি ভালোবাসার প্রদর্শন। ব্যারিস্টার এম এ সালামের এই উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং একজন সমাজসেবীও। ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার পড়াশোনা এবং পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিজ এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। বিশেষভাবে দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং বহু সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নিয়মিতভাবে, তিনি এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়নের জন্য অনুদান প্রদান করে আসছেন। তিনি দক্ষিণ সুরমার সৈয়দ কুতুব জালাল মডেল হাই স্কুলের আজীবন সদস্য।

প্রসঙ্গত,১৯৮০ দশকে, যখন আমি ঐ স্কুলে শিক্ষার্থী ছিলাম, ব্যারিস্টার এম এ সালাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। ছুটির সময় তিনি বাড়ি ফিরলে, স্কুলে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে কুশল বিনিময় করতেন। পাশাপাশি, বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন। উল্লেখ্য, এই স্কুলে তিনিও একজন প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। ব্যারিস্টার এম এ সালাম নিজ এলাকার উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি কোথাও না গিয়ে সরাসরি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং প্রথমে তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ওই সময়ে, তিনি নিজের মাসিক বেতন থেকে একটি অংশ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বিলিয়ে দিতেন, যা তার মানবিক মূল্যবোধ এবং শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার পরিচয় দেয়। কেননা, তরুণ প্রজন্মের প্রতি তার বিশেষ আগ্রআছে এবং তাদের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বপ্ন রয়েছে, যা তার সামাজিক দায়বদ্ধতার আরো একটি দিক তুলে ধরে।

তিনি একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি, যিনি ইসলামের মূলনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনায় সদা সচেষ্ট। বিশেষভাবে, আলেম-ওলামাদের প্রতি তার রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা এবং সবসময় তাদের দোয়া প্রার্থনা করেন। তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সর্বদা সহায়তা প্রদান করেন এবং নিজ এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অগাধ ভালোবাসা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, তার অতুলনীয় চারিত্রিক মাধুর্যের জন্য তিনি সর্বজনবিদিত সততা, সত্যবাদিতা, ভদ্রতা, ন্যায্যতা, ধৈর্যশীলতা এবং আচার-ব্যবহারে অসাধারণ মানবিক গুণের সমাবেশ সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন।

পরিশেষে, আমি একটি আশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের লেখার সমাপ্তি টানবো। আমরা সবাই অবগত যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতিত হয়েছে। বর্তমানে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যারিস্টার এম এ সালামকে দেখতে চায়। সিলেট-৩ আসনের জনগণের পক্ষ থেকে বিএনপির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত প্রার্থনা জানাই, যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার এম এ সালামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় । আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নির্বাচনে সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

এখানে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখযোগ্য, রাজনীতির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো জনসেবা৷ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিকারী হওয়ার উদ্দেশ্যও জনকল্যাণের পথ সুগম করা। রাজনীতিতে শিক্ষা, প্রজ্ঞা, সততা, বিচক্ষণতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। এসব মৌলিক গুণাবলী বিচার করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান তার পরিকল্পনায় জানিয়েছেন যে, দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে এই সব গুণাবলী থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মধ্যে এসব গুণাবলী অবশ্যই থাকা উচিত। সুতরাং, এখানে যতগুলো গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তার সবটুকু গভীরভাবে ব্যারিস্টার এম এ সালামের মধ্যে রয়েছে, তেমনি তিনি আরো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং তার কাজের পরিধি বিস্তৃত, অবদানের তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। তাই বিপুল কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবন এই গুণী মানুষ এবং প্রিয় নেতাকে সিলেট-৩ সংসদীয় আসনে আগামী দিনের আশা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাময় প্রতীক হিসেবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য এলাকার জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।

লেখক: প্রাবন্ধিক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল

আপডেট সময় : ১২:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যেকটি দেশ ও সমাজে কিছু সংখ্যক লোক আছেন যারা দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে ইতিহাসে স্থান করে নেন। কিছু কিছু সময়, তাদের কীর্তি তাদেরকে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়।

বর্তমান সময়ে, এমন এক সম্ভাবনাময় ও উজ্জ্বল নক্ষত্র, কীর্তিমান ব্যক্তি, সিলেটের কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার এম এ সালাম।

তার নামটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে একঝাঁক গুণবাচক বিশেষণ তার নামের পাশে এসে ভিড় করবে, যেমন: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সংগঠক, দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক, কর্মবীর, আরো কত কী! অথচ তিনি নিজেকে এসব বলতে নারাজ। তার একটাই কথা—“আমি শুধু ব্যারিস্টার সালাম, একজন মানুষ।”

হ্যাঁ যারা গুণীজন, তারা নিজেদেরকে এভাবেই আড়াল করতে চান, কিন্তু চাইলেই কি পারা যায়? তার গুণ তাকে লোকসমাজের মাঝে বের করে আনে, সমাজের প্রয়োজনে। দেশপ্রেমিক বরেণ্য ব্যক্তি ব্যারিস্টার এম এ সালাম সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে এখানে কিছু লিখতে গেলে, প্রথমেই বলতে হয়, ছোটবেলা থেকেই তার স্নেহ, আদর, ভালোবাসা ও পরামর্শে বেড়ে উঠেছি, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আমার অগ্রজ অর্থাৎ বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধেয় এক আপনজন। পারিবারিকভাবে আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ। এছাড়া আমাদের উভয়েরই পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায়, ঘনিষ্ঠতার পরিধি আরো বিস্তৃত৷

যাইহোক, ব্যারিস্টার এম এ সালাম সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলা বাজার থানার রায়বান গ্রামে ১৯৬৫ সালে এক মধ্যবিত্ত এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কিংবদন্তি আউলিয়া, কামিল পীর হযরত শেখ বাহার (রহ.)-এর বংশধর বা উত্তরসূরী। ব্যারিস্টার সালামের পিতার নাম আলহাজ্ব মাহমুদ মিয়া এবং মাতার নাম আলহাজ্জা ময়মুন্নেসা খাতুন। পিতা আলহাজ্ব মাহমুদ মিয়া ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি।

তিনি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দীর্ঘদিন গ্রাম সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এছাড়া তিনি এলাকার এক বিশিষ্ট মুরব্বি হিসেবে গ্রাম্য সালিসী বৈঠকে একজন স্বনামধন্য বিচারক ছিলেন। অন্যদিকে, তার মাতা ময়মুন্নেসা খাতুনও একজন ধার্মিক, অতিথি পরায়ণ এবং সজ্জন মহিলা ছিলেন৷ ব্যারিস্টার সালামের সাত ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার সকল ভাই-বোনেরা উচ্চশিক্ষিত এবং তাদের নিজ নিজ পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত। তার সহধর্মিনী রওশনারা সালামও একজন উচ্চশিক্ষিত মহিলা, যিনি বর্তমানে একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কর্মরত।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন স্থানীয় সুনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সেখানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি সৈয়দ কুতুব জালাল জুনিয়র হাই স্কুল থেকে সপ্তম শ্রেণী এবং জালালপুর হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৮১ সালে এমসি কলেজ (বর্তমানে সরকারি কলেজ) ভর্তি হয়ে ১৯৮৪ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরে সিলেট সরকারি কলেজ (বর্তমানে এমসি কলেজ) থেকে ১৯৮৬ সালে ডিগ্রি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরের বছর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং সিলেট জেলা বারের সদস্যপদ লাভ করেন । তিনি সিলেট জেলা বারের একজন আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন এবং একই বছরে সিলেট দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়া, তিনি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যও নিযুক্ত হন।

১৯৯৭ সালে ব্যারিস্টার এম এ সালাম উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে লন্ডন গিল্ডহল ইউনিভার্সিটি (বর্তমানে লন্ডন মেট্রোপলিটন) থেকে এলসিসিআই (LCCI) এবং সিটি এন্ড গিল্ডস থেকে এডাল্ট এডুকেশন ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০১ সালে সেন্ট বনাভেঞ্চার কম্পিউটার টেকনোলজি কলেজ থেকে আইসিটি বিষয়ে কোর্স শেষ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন থেকে এলএলবি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬-০৭ সালে, তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি ইনস অফ কোর্ট স্কুল অব ল’ (ICSL) থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন প্রফেশনাল লিগ্যাল স্কিল (পিজিডিপিএলএস) ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই বছরে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রতিটি স্তরে তিনি তার প্রতিভা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম জাতীয়তাবাদী শক্তির একজন প্রখর আদর্শের মানুষ, যিনি মূলত পারিবারিক প্রভাব থেকেই এই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন। স্কুল জীবনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে যুক্ত হন এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে প্রভাবিত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। কিশোর বয়স থেকেই তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেন এবং সেই চিন্তাধারা, আদর্শ ও বিশ্বাসের আলোকে নিজের রাজনৈতিক জীবন গড়ে তোলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতি সচেতন ছিলেন এবং ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন অভিজ্ঞ নেতা, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ব্যারিস্টার এম এ সালাম দলের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, সিলেট এমসি কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দলের কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রতিটি পদে, তিনি তার সাহসিকতা, নিষ্ঠা এবং নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে দলের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।

শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হওয়ার পর ব্যারিস্টার এম এ সালাম পেশাগত জীবনে প্রবেশ করার আগেই জাতীয়তাবাদী শক্তির গণসংগঠনের একজন বলিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যারিস্টার এম এ সালাম, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বিএনপির পক্ষে সামাজিক, রাজনৈতিক, এনজিও এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়ন সহযোগী এবং গণতন্ত্রপন্থী দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক স্তরে বিএনপির পক্ষে সহযোগিতা এবং মনোযোগ আকর্ষণ করতে নিয়মিত কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন। এছাড়া, ব্যারিস্টার এম এ সালাম বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে নিজের নিজস্ব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। অন্যদিকে জেলা ভিত্তিক রাজনীতিতেও তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জেলা জিয়া ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হলেও, তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের প্রতি নিজের আনুগত্য বজায় রেখে, দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

ব্যারিস্টার এম এ সালাম জাতীয় রাজনীতিতে তার অবদান ধরে রেখেছেন, বিশেষত: যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ৷ ২০১০ সালে, তিনি একটি ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালে একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জাসাসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জিয়া ফোরামের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ শুরু করেন।

উল্লেখ্য, লন্ডনে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যারিস্টার এম এ সালাম কমিউনিটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আন্তর্জাতিক সেবা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন ওয়েলফেয়ার এবং গবেষণামূলক চ্যারিটি সংস্থার সাথে তিনি গভীরভাবে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় নিজেকে নিবেদিত করার পরও, সামাজিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। যাইহোক, বাংলাদেশে সিলেট ও ঢাকায় তার পেশাগত চেম্বার রয়েছে, এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তিনি নিজস্ব চেম্বার পরিচালনা করেন, যা “ইস্ট লন্ডন লো চেম্বার” নামে পরিচিত।

রাজনীতির পাশাপাশি, ব্যারিস্টার এম এ সালাম সামাজিক উন্নয়নেও একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি৷ মেধা, মনন, প্রজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি নৈতিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি সুস্থ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ও মানুষের স্বার্থকে সবার ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে তিনি সচেষ্ট আছেন এবং এতে কখনো তার ক্লান্তিবোধ নেই। সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এইসব উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে, তিনি নিজ এলাকা তথা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সেসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি তার নিবেদন অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে, ব্যারিস্টার এম এ সালাম নিজ অর্থে প্রতিষ্ঠিত ‘ব্যারিস্টার এম এ সালাম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ থেকে বিশেষভাবে রোজার ঈদে ৬০০ স্বল্প আয়ের পরিবারকে ‘ঈদ-আনন্দ’ উপহার প্রদান করেন৷ এছাড়া, শীতকালে তিনি দুস্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, যেমন পূজা-পর্বে, প্রতিবেশীদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে সাহায্য করেছেন। এছাড়া, তার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নিয়মিতভাবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এলাকায় শীতবস্ত্র এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং এলাকার প্রতি ভালোবাসার প্রদর্শন। ব্যারিস্টার এম এ সালামের এই উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং একজন সমাজসেবীও। ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার পড়াশোনা এবং পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিজ এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। বিশেষভাবে দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং বহু সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নিয়মিতভাবে, তিনি এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়নের জন্য অনুদান প্রদান করে আসছেন। তিনি দক্ষিণ সুরমার সৈয়দ কুতুব জালাল মডেল হাই স্কুলের আজীবন সদস্য।

প্রসঙ্গত,১৯৮০ দশকে, যখন আমি ঐ স্কুলে শিক্ষার্থী ছিলাম, ব্যারিস্টার এম এ সালাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। ছুটির সময় তিনি বাড়ি ফিরলে, স্কুলে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে কুশল বিনিময় করতেন। পাশাপাশি, বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন। উল্লেখ্য, এই স্কুলে তিনিও একজন প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। ব্যারিস্টার এম এ সালাম নিজ এলাকার উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি কোথাও না গিয়ে সরাসরি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং প্রথমে তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ওই সময়ে, তিনি নিজের মাসিক বেতন থেকে একটি অংশ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বিলিয়ে দিতেন, যা তার মানবিক মূল্যবোধ এবং শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার পরিচয় দেয়। কেননা, তরুণ প্রজন্মের প্রতি তার বিশেষ আগ্রআছে এবং তাদের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বপ্ন রয়েছে, যা তার সামাজিক দায়বদ্ধতার আরো একটি দিক তুলে ধরে।

তিনি একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি, যিনি ইসলামের মূলনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনায় সদা সচেষ্ট। বিশেষভাবে, আলেম-ওলামাদের প্রতি তার রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা এবং সবসময় তাদের দোয়া প্রার্থনা করেন। তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সর্বদা সহায়তা প্রদান করেন এবং নিজ এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অগাধ ভালোবাসা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, তার অতুলনীয় চারিত্রিক মাধুর্যের জন্য তিনি সর্বজনবিদিত সততা, সত্যবাদিতা, ভদ্রতা, ন্যায্যতা, ধৈর্যশীলতা এবং আচার-ব্যবহারে অসাধারণ মানবিক গুণের সমাবেশ সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন।

পরিশেষে, আমি একটি আশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের লেখার সমাপ্তি টানবো। আমরা সবাই অবগত যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতিত হয়েছে। বর্তমানে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যারিস্টার এম এ সালামকে দেখতে চায়। সিলেট-৩ আসনের জনগণের পক্ষ থেকে বিএনপির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত প্রার্থনা জানাই, যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার এম এ সালামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় । আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ব্যারিস্টার এম এ সালাম তার দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নির্বাচনে সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

এখানে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখযোগ্য, রাজনীতির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো জনসেবা৷ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিকারী হওয়ার উদ্দেশ্যও জনকল্যাণের পথ সুগম করা। রাজনীতিতে শিক্ষা, প্রজ্ঞা, সততা, বিচক্ষণতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। এসব মৌলিক গুণাবলী বিচার করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান তার পরিকল্পনায় জানিয়েছেন যে, দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে এই সব গুণাবলী থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মধ্যে এসব গুণাবলী অবশ্যই থাকা উচিত। সুতরাং, এখানে যতগুলো গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তার সবটুকু গভীরভাবে ব্যারিস্টার এম এ সালামের মধ্যে রয়েছে, তেমনি তিনি আরো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং তার কাজের পরিধি বিস্তৃত, অবদানের তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। তাই বিপুল কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবন এই গুণী মানুষ এবং প্রিয় নেতাকে সিলেট-৩ সংসদীয় আসনে আগামী দিনের আশা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাময় প্রতীক হিসেবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য এলাকার জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।

লেখক: প্রাবন্ধিক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী