ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট পারিবারিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অপপ্রচার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন যুব মহিলালীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু ! মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস সিলেটের কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন সহ ৩ জন গ্রেফতার চামেলীবাগ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫-এর উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত সড়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সিলেটের ৩ কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতার বৈঠক শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার কুখ্যাত “বুলেট মামুন” ও তার সহযোগী ০২ (দুই) জন গ্রেফতার বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল এর উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন সিলেটে যানজট নিরসনে টেকসই সমাধান: এনসিপির ২৭ দফা প্রস্তাবনা মজলুমের জবানবন্দি: গাজী আব্দুল কাদির মুকুল

যুব মহিলালীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু !

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
  1. ঝালকাঠি জেলার সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী সারমিন মৌসুমি কেকার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও কেকার মৃত্যু হয়েছে বিকেল ৫টার দিকে। তাছাড়া মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতি চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে নগরজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকার হিরন আহমেদ লিটুর স্ত্রী ও ঝালকাঠি জেলার যুব মহিলালীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি একটি রুমের ভেতরে মরদেহটি পড়ে আছে। আমরা সংবাদ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে নিহতের শরীরের কয়েকটি স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে। মৃত্যুর খবর চাপা রাখতে তারা কাউকে জানায়নি। এমনকি যে রুমের ভেতরে কেকার মরদেহটি ছিল, সেই রুমের সামনে স্বামী লিটু একটি রামদা নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি কাউকে রুমে প্রবেশ করতে দেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করবেন বলে জানিয়েছে কেকার স্বজনরা।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর রোড থেকে কেকা নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যুব মহিলালীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু !

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  1. ঝালকাঠি জেলার সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী সারমিন মৌসুমি কেকার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও কেকার মৃত্যু হয়েছে বিকেল ৫টার দিকে। তাছাড়া মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতি চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে নগরজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকার হিরন আহমেদ লিটুর স্ত্রী ও ঝালকাঠি জেলার যুব মহিলালীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি একটি রুমের ভেতরে মরদেহটি পড়ে আছে। আমরা সংবাদ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে নিহতের শরীরের কয়েকটি স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে। মৃত্যুর খবর চাপা রাখতে তারা কাউকে জানায়নি। এমনকি যে রুমের ভেতরে কেকার মরদেহটি ছিল, সেই রুমের সামনে স্বামী লিটু একটি রামদা নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি কাউকে রুমে প্রবেশ করতে দেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করবেন বলে জানিয়েছে কেকার স্বজনরা।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর রোড থেকে কেকা নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’