ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

হিমঘরে পড়ে আছে ২৮৬ বিয়ে করা রাব্বির মরদেহ;লাশ নিতে কেউ আসেনা !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ২২০ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণা করে ২৮৬টি বিয়ে ও ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির হোসেন রাব্বির (৪৩) মরদেহ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত তার কোনো স্বজন মরদেহ নেওয়ার দাবি করেনি।।

এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন রাব্বি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা পনির হোসেনের ছেলে।

প্রতারণা ও ধর্ষণের একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন তিনি। জানা গেছে, ১৪ বছরে নানা প্রতারণামূলক কৌশলে ধনাঢ্য পরিবারের ২৮৬ জন নারীকে বিয়ে করে আলোড়ন তুলেছিলেন রাব্বি।

তার নামে একাধিক নারী বিয়ের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। সেই সব মামলায় তিনি বিচারাধীন থাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন জাকির হোসেন রাব্বি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ যতীন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ মর্গে রয়েছে। জাকির হোসেন রাব্বি জেলখানায় মারা গেছেন। তার স্বজনদের জানানো হয়েছে। মরদেহ এখনো কেউ নেয়নি। স্বজনরা ঢাকায় আসবে, তারপর মরদেহ নিতে পারে।’

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু জানান, জীবদ্দশায় জাকির হোসেন রাব্বির নানা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ছিলেন। সে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ রাখেনি। স্বজনদের কয়েকজন ঢাকায় গিয়েছে, তারা মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করবে। মরদেহ এখানে আনবে কিনা এখনো জানা যায়নি।

২০১৯ সালে মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিলে পুলিশ তার জবানবন্দিতে জানতে পারে যে, তিনি শুধু ধর্ষণ নয়, ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করেছেন।

জাকির হোসেন রাব্বিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী শফিকুল জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হিমঘরে পড়ে আছে ২৮৬ বিয়ে করা রাব্বির মরদেহ;লাশ নিতে কেউ আসেনা !

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

প্রতারণা করে ২৮৬টি বিয়ে ও ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির হোসেন রাব্বির (৪৩) মরদেহ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত তার কোনো স্বজন মরদেহ নেওয়ার দাবি করেনি।।

এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন রাব্বি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা পনির হোসেনের ছেলে।

প্রতারণা ও ধর্ষণের একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন তিনি। জানা গেছে, ১৪ বছরে নানা প্রতারণামূলক কৌশলে ধনাঢ্য পরিবারের ২৮৬ জন নারীকে বিয়ে করে আলোড়ন তুলেছিলেন রাব্বি।

তার নামে একাধিক নারী বিয়ের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। সেই সব মামলায় তিনি বিচারাধীন থাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন জাকির হোসেন রাব্বি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ যতীন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ মর্গে রয়েছে। জাকির হোসেন রাব্বি জেলখানায় মারা গেছেন। তার স্বজনদের জানানো হয়েছে। মরদেহ এখনো কেউ নেয়নি। স্বজনরা ঢাকায় আসবে, তারপর মরদেহ নিতে পারে।’

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু জানান, জীবদ্দশায় জাকির হোসেন রাব্বির নানা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ছিলেন। সে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ রাখেনি। স্বজনদের কয়েকজন ঢাকায় গিয়েছে, তারা মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করবে। মরদেহ এখানে আনবে কিনা এখনো জানা যায়নি।

২০১৯ সালে মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিলে পুলিশ তার জবানবন্দিতে জানতে পারে যে, তিনি শুধু ধর্ষণ নয়, ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করেছেন।

জাকির হোসেন রাব্বিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী শফিকুল জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।