সিলেটের আখালিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু: স্বজনদের আহাজারি
- আপডেট সময় : ১২:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেট নগরীর ৯নং ওয়ার্ডস্থত আখালিয়া নিয়ারীপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমরান মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) আখালিয়া নেহারীপাড়ায় শাহ ম্যানশনের তুহিন আহমদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মিয়া সে নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের আখালিয়া নতুন বাজার ব্রাক্ষাণ শাসন এলাকার রফিক মিয়া ছেলে। তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক। স্বজনদের আহাজারি ভারি হয়ে গেছে।
স্হানীয় কাউন্সিলর জগদীশ দাস বলেন, স্বজনদের আহাজারিতে আমি বাকরুদ্ধ। তাদের সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার নেই। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।
জানা যায়, নিহত ইমরান মিয়া ইব্রাহীম আলীর সঙ্গে গত ৮ দিন যাবত অত্র কোতোয়ালী থানাধীন আখালিয়া সুনামগন্জ রোডস্থ শাহ ম্যানশনের চালের টিন পরিবর্তন নির্মান কাজ করিয়া আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২১ এপ্রিল ইব্রাহীম মিয়ার সহযোগী হিসাবে উক্ত শাহ ম্যানশনে এর ২য় তলায় টিন উপর বাড়ির একটি ঘরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিলেন। এ সময় বাড়িতে থাকা বিদ্যুতের একটি খোলা তারের সংস্পর্শে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়। পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিলেট এম এ জি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শ্রমিক ইমরান মিয়ার চাচা শফিক মিয়া তিনি বলেন, আখালিয়া নিহারীপাড়া শাহ ম্যানশনে তুহিন আহমদ এর বাড়ীতে আমর ভাতিজা গত ৮ দিন যাবত টিন পরিবর্তন নির্মান কাজ করিয়া আসছে। সেহিসেবে গত ২১ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট আহত হয়। পরে তাকে তার সহ কর্মীরা উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে আমি এই ঘটনার জন্য বাসার মালিককে দায়ী করছি। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করছি। কিন্তুক ঐ বাসার মালিক এখন আমরা বাতিজা লাশ দেখতে এখন আসেনি। আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিহত ইামরান মিয়ার মা ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও।’
এ বিষয় ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিরল জগদীশ দাস তিনি বলেন, নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই শ্রমিক মারা গেছেন। এ ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনার জন্য বাসার মালিক দায়ী। কারণ বিদ্যুৎ বন্ধ করে বাসার কাজ করানোর দরকার ছিল আমি মনে করি। তা হলে এভাবে ঘটনা ঘটতোনা। তিনি পাশাপাশি তুহিন আহমদ এখন পর্যন্ত লাশটি এক নজর দেখতে আসেননি। আমি তার বিচার চাই। আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয় সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করে কাজ শুরু করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হতো। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ বিভাগকে কিছুই জানায়নি।
নিহত ইামরান মিয়ার পিতা রফিক মিয়া এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।