ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছিল, আমরা মাঠের খেলায় মেতেছি: হাবিব-উন-নবী সোহেল সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব সফলে মহানগর যুবদলের প্রচারপত্র বিলি কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপির বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথম দিনের অভিযানে সিলেটে পাঁচজন আটক অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিসিক পরিচালিত হাসপাতাল ও খাল-ছড়া পরিদর্শন করলেন প্রশাসক

‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করে চাকরিচ্যুত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক !

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্পে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এর প্রতিবাদে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেছেন এই শিক্ষক। এ ঘটনার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে রোববার রাতে নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তিনিও আর ক্লাসে ফিরবেন না। ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লিখেছেন, আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে (রাত ১১টা) এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না, হঠাৎ কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিলো। আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রতিবাদ জানান। এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।

ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাতিয়াস ফাহমিদ বলেন, তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। কেন তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ আনুষঙ্গিক ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। সেখানে বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে।

এদিকে, রোববার রাতে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার ফোনালাপের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কল রেকর্ডে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা শিক্ষক আসিফকে আগামীকাল (সোমবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তটি জানাচ্ছেন।

তখন শিক্ষক আসিফ এ কলের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিপরীত পাশে থাকা ব্যক্তির কাছে অফিসিয়াল বার্তার কথা জানতে চান। তিনি বলেন, আগামীকাল আমার ক্লাস আছে। সেক্ষেত্রে আমাকে এটার সত্যতা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন বিপরীত দিক থেকে বলতে শোনা যায়, একচুয়ালি আমি এ সেকশনেই আছি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমাকে আপনার এ তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাকে সে তথ্যটাই জানিয়ে দিলাম। যদি অফিসিয়াল কোনো নোটিশ থাকে, পরে সেটি শেয়ার করব।

বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, ওই স্ট্যাটাস তাদেরও নজরে এসেছে। তবে তাকে ক্লাসে না যাওয়ার জন্য যে নির্দেশনার কথা স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি তারা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করে চাকরিচ্যুত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক !

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্পে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এর প্রতিবাদে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেছেন এই শিক্ষক। এ ঘটনার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে রোববার রাতে নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তিনিও আর ক্লাসে ফিরবেন না। ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লিখেছেন, আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে (রাত ১১টা) এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না, হঠাৎ কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিলো। আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রতিবাদ জানান। এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।

ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাতিয়াস ফাহমিদ বলেন, তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। কেন তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ আনুষঙ্গিক ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। সেখানে বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে।

এদিকে, রোববার রাতে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার ফোনালাপের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কল রেকর্ডে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা শিক্ষক আসিফকে আগামীকাল (সোমবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তটি জানাচ্ছেন।

তখন শিক্ষক আসিফ এ কলের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিপরীত পাশে থাকা ব্যক্তির কাছে অফিসিয়াল বার্তার কথা জানতে চান। তিনি বলেন, আগামীকাল আমার ক্লাস আছে। সেক্ষেত্রে আমাকে এটার সত্যতা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন বিপরীত দিক থেকে বলতে শোনা যায়, একচুয়ালি আমি এ সেকশনেই আছি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমাকে আপনার এ তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাকে সে তথ্যটাই জানিয়ে দিলাম। যদি অফিসিয়াল কোনো নোটিশ থাকে, পরে সেটি শেয়ার করব।

বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, ওই স্ট্যাটাস তাদেরও নজরে এসেছে। তবে তাকে ক্লাসে না যাওয়ার জন্য যে নির্দেশনার কথা স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি তারা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি।