ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার উদয় সমাজ কল্যান সংস্থার ১৮ তম ওয়াজ মাহফিল ৬ ডিসেম্বর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ, সমাবেশের প্রস্তাব আনা হয়েছে: আসিফ নজরুল জাতীয় ঐক্যমত তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর ! কাফরুলে বাসার গাড়ির ড্রাইভার আটক; স্বর্ণালঙ্কার ও ছয় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার সিলেটের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি মেলা শুরু বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ শীর্ষ ১২ আলেমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা পাচারের ৩২ বছর পর পাকিস্তান থেকে পরিবারের কাছে ফিরছেন পটুয়াখালীর তাসলিমা ! সব ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট !

রাজনীতিতে বিএনপি কোণঠাসা; জামিন নামন্জুর হয়ে শীর্ষস্থানীয়রা কারাগারে !

আহমদ নাহিদ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এরপরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন হয়নি।

ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পরদিন মির্জা ফখরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মির্জা ফখরুলের মতো কারাগারে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান (দুদু), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ার ও সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স), মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি)সহ ১৮ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

এদের মধ্যে ১১ জন গত ২৮ অক্টোবরের পরে গ্রেপ্তার হন। বাকিদের কেউ ছয় মাস, কেউ এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।

দেশে গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএনপির অন্তত দুজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃণমূল ও জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের তালিকায় বহিষ্কৃত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে তানভীর আহমেদ এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

কিছু কিছু মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও জামিন পেয়েছেন। তবে সব মামলায় জামিন না হওয়ায় তারা মুক্তি পাননি।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা জানান, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে। গত ২ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া আমীর খসরুও একই মামলায় জামিন পাননি। তিনি অন্য নয়টি মামলায় জামিন পেয়েছেন।

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের হামলার মামলায় ইতিমধ্যে ১০ জনের বেশি আসামি জামিন পেয়েছেন। মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। তিনি বলেন, আবার তাদের জামিন চেয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হবে।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর এবং তার পরের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে মামলা হয়েছে ১১টি। গতকাল সোমবার তিনি সিএমএম আদালত থেকে ৬টি মামলায় জামিন পান। তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ সদস্য হত্যা মামলাসহ ৫টি মামলায় জামিন পাননি। তিনি গ্রেপ্তার হন গত ৩১ অক্টোবর।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন গত ৫ নভেম্বর। ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের করা রমনা থানার চারটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় তিনি জামিন পাননি। পুরোনো একটি মামলায় গত ২৮ ডিসেম্বর তার ২১ মাসের কারাদণ্ডও হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজনীতিতে বিএনপি কোণঠাসা; জামিন নামন্জুর হয়ে শীর্ষস্থানীয়রা কারাগারে !

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এরপরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন হয়নি।

ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পরদিন মির্জা ফখরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মির্জা ফখরুলের মতো কারাগারে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান (দুদু), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ার ও সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স), মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি)সহ ১৮ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

এদের মধ্যে ১১ জন গত ২৮ অক্টোবরের পরে গ্রেপ্তার হন। বাকিদের কেউ ছয় মাস, কেউ এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।

দেশে গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএনপির অন্তত দুজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃণমূল ও জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের তালিকায় বহিষ্কৃত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে তানভীর আহমেদ এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

কিছু কিছু মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও জামিন পেয়েছেন। তবে সব মামলায় জামিন না হওয়ায় তারা মুক্তি পাননি।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা জানান, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে। গত ২ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া আমীর খসরুও একই মামলায় জামিন পাননি। তিনি অন্য নয়টি মামলায় জামিন পেয়েছেন।

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের হামলার মামলায় ইতিমধ্যে ১০ জনের বেশি আসামি জামিন পেয়েছেন। মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। তিনি বলেন, আবার তাদের জামিন চেয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হবে।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর এবং তার পরের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে মামলা হয়েছে ১১টি। গতকাল সোমবার তিনি সিএমএম আদালত থেকে ৬টি মামলায় জামিন পান। তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ সদস্য হত্যা মামলাসহ ৫টি মামলায় জামিন পাননি। তিনি গ্রেপ্তার হন গত ৩১ অক্টোবর।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন গত ৫ নভেম্বর। ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের করা রমনা থানার চারটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় তিনি জামিন পাননি। পুরোনো একটি মামলায় গত ২৮ ডিসেম্বর তার ২১ মাসের কারাদণ্ডও হয়েছে।