ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

“এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি,” বলেন মন্ত্রী।

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণেও নীতিমালা হচ্ছে

মোঃ শাহজাহান আহমদ
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ইজিবাইক, নসিমন, করিমনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একটা জিনিস উপেক্ষা করতে পারি না। এখানে যেভাবে তিন চাকার গাড়িগুলো চলছে। ইজিবাইকসহ এই গাড়িগুলোর কারণে বেশিরভাগ অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে। অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে মোটরসাইকেলে।

“আমি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে, বিশেষ করে মোটর সাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হচ্ছিল নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি।”

মহাসড়কে নসিমন, করিমন ভাটভটিসহ তিনচাকার যান চলাচল বন্ধের জন্য উচ্চ আদালত এরআগে বহুবার নির্দেশনা দিয়েছে, কিন্তু রাস্তা থেকে সেগুলো সরানো যায়নি।

বাংলাদেশে মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে এসব তিন চাকার বাহনকে দায়ী করা হয়। আর গত কয়েক বছর ধরে সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল।

মন্ত্রী বলেন, “নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যংক রোড সেফটির উপরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি এই দুটি কাজ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে।”

বারবার বলার পরও কেন তিন চাকার বাহন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা রাখছেন– এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, “এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তা ছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে।”

সরকারের নেওয়া বেশিরভাগ প্রকল্পে ধীর গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “মহামারীর সময় অনেক কাজের বিলম্ব হয়েছে। না চাইলেও বিলম্ব হয়েছে। কারণ যে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করে, যে টেকনিশিয়ানরা কাজ করে, তারা কর্মস্থলে থাকতে চান না। এর জন্য দেরি হননি তা তো না। দেরি হয়েছে। নানা কারণে হয়, আর্থিক কারণে হয়, অর্থ সংকটে হয়।

“বিদেশি অনেক প্রজেক্টে বিলম্ব হয়। আবার ঘাটে ঘাটে কনকারেন্সের জন্য বিলম্ব হয়। সে কারণে বিলম্ব হয়। বিদেশি কাজে ঘাটে ঘাটে কনকারেন্স নিতে হয়। এর জন্য অনেক সময় আমাদের অপচয় হয়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

“এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি,” বলেন মন্ত্রী।

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণেও নীতিমালা হচ্ছে

আপডেট সময় : ১১:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ইজিবাইক, নসিমন, করিমনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একটা জিনিস উপেক্ষা করতে পারি না। এখানে যেভাবে তিন চাকার গাড়িগুলো চলছে। ইজিবাইকসহ এই গাড়িগুলোর কারণে বেশিরভাগ অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে। অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে মোটরসাইকেলে।

“আমি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে, বিশেষ করে মোটর সাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হচ্ছিল নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি।”

মহাসড়কে নসিমন, করিমন ভাটভটিসহ তিনচাকার যান চলাচল বন্ধের জন্য উচ্চ আদালত এরআগে বহুবার নির্দেশনা দিয়েছে, কিন্তু রাস্তা থেকে সেগুলো সরানো যায়নি।

বাংলাদেশে মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে এসব তিন চাকার বাহনকে দায়ী করা হয়। আর গত কয়েক বছর ধরে সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল।

মন্ত্রী বলেন, “নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যংক রোড সেফটির উপরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি এই দুটি কাজ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে।”

বারবার বলার পরও কেন তিন চাকার বাহন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা রাখছেন– এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, “এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তা ছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে।”

সরকারের নেওয়া বেশিরভাগ প্রকল্পে ধীর গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “মহামারীর সময় অনেক কাজের বিলম্ব হয়েছে। না চাইলেও বিলম্ব হয়েছে। কারণ যে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করে, যে টেকনিশিয়ানরা কাজ করে, তারা কর্মস্থলে থাকতে চান না। এর জন্য দেরি হননি তা তো না। দেরি হয়েছে। নানা কারণে হয়, আর্থিক কারণে হয়, অর্থ সংকটে হয়।

“বিদেশি অনেক প্রজেক্টে বিলম্ব হয়। আবার ঘাটে ঘাটে কনকারেন্সের জন্য বিলম্ব হয়। সে কারণে বিলম্ব হয়। বিদেশি কাজে ঘাটে ঘাটে কনকারেন্স নিতে হয়। এর জন্য অনেক সময় আমাদের অপচয় হয়।”