ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট মহানগর যুবদল নেতা রুবেলের পিতার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ- খন্দকার মুক্তাদির সিলেটে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে গবেষণা বিষয়ে কর্মশালা তিন শূন্যের পৃথিবী গড়তে দূষণ কমানোর বিকল্প নেই -নূর আজিজুর রহমান আমরা পরিবেশকে ভালো রাখলে পরিবেশও আমাদের ভালো রাখবে -অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভেদের জায়গায় ঐক্য প্রতিষ্ঠাই আমাদের রাজনীতি -ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ ‘সম্প্রীতি ভবন’আমাদের এই ঐতিহ্যকে আরও প্রসারিত করবে: ড. ইউনূস ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক মডেল মেঘনা, পরিবারের দাবী ও প্রাপ্ত তথ্য রহস্যময় ! গা’জা’য় ই’স’রা’য়েলি নৃ’শং’স হা’ম’লা ও গণ’হ’ত্যার প্র’তি’বাদে বৃহত্তর শিবগঞ্জবাসীর মানববন্ধন

মসজিদ কমিটি নিয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাস, সংঘ*র্ষে বৃদ্ধের মৃত্যু

আহমদ নাহিদ
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না-তাজপুর, রসুলপুর গ্রামের মসজিদ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় সুজাত উল্লা (৮০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

এ সংঘর্ষে ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ ও মরহুম হাজী মো. খুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে বাগময়না, তাজপুর গ্রামের মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ প্রায় ৩ শতাদিক লোক জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের সুজাত উল্লাহের লোকজনের উপর হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষ হয়।

এ ঘটনায় আমান উল্লাহের ছেলে সুজাত উল্লা (৮০), সুজাত উল্লাহের ছেলে সেফুল মিয়া (৪০), রেকুল মিয়া, সেকুল মিয়া, সেজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, আব্দুল আমিন, মমিন মিয়া, তছর মিয়া, টুনু মিয়া, মামুন মিয়া, শামিম মিয়া, ইমন মিয়া, রিনা বেগম, আব্দুল মহিম, কাজল মিয়া, নোয়াগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে শাহেদ মিয়াসহ প্রায় ৫০জন আহত হন। মোল্লা আব্দুল আজিরের পক্ষের মজিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া আহত হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত সুজাত উল্লাহকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে শালিসি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন, ফারুক মিয়া, হাফিজ শামিম মিয়া, জামান উল্লাহ মুক্তার, আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়া সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সজিব মিয়া নেতৃত্বে প্রায় ২০জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে গুরুতর আহমদ সেকুল জানান, মসজিদ কমিটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায় এ হামলায় আমার বাবা নিহত হয়েছেন। আমার বড় ভাই সেফুল মিয়া, আমিসহ আমরা সকল ভাই গুরুতর আহত হয়েছি। আমার ভাইদের অবস্থা আশঙ্কাজনক আমাদের সিলেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, মসজিদ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মসজিদ কমিটি নিয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাস, সংঘ*র্ষে বৃদ্ধের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না-তাজপুর, রসুলপুর গ্রামের মসজিদ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় সুজাত উল্লা (৮০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

এ সংঘর্ষে ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ ও মরহুম হাজী মো. খুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে বাগময়না, তাজপুর গ্রামের মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ প্রায় ৩ শতাদিক লোক জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের সুজাত উল্লাহের লোকজনের উপর হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষ হয়।

এ ঘটনায় আমান উল্লাহের ছেলে সুজাত উল্লা (৮০), সুজাত উল্লাহের ছেলে সেফুল মিয়া (৪০), রেকুল মিয়া, সেকুল মিয়া, সেজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, আব্দুল আমিন, মমিন মিয়া, তছর মিয়া, টুনু মিয়া, মামুন মিয়া, শামিম মিয়া, ইমন মিয়া, রিনা বেগম, আব্দুল মহিম, কাজল মিয়া, নোয়াগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে শাহেদ মিয়াসহ প্রায় ৫০জন আহত হন। মোল্লা আব্দুল আজিরের পক্ষের মজিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া আহত হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত সুজাত উল্লাহকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে শালিসি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন, ফারুক মিয়া, হাফিজ শামিম মিয়া, জামান উল্লাহ মুক্তার, আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়া সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সজিব মিয়া নেতৃত্বে প্রায় ২০জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে গুরুতর আহমদ সেকুল জানান, মসজিদ কমিটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায় এ হামলায় আমার বাবা নিহত হয়েছেন। আমার বড় ভাই সেফুল মিয়া, আমিসহ আমরা সকল ভাই গুরুতর আহত হয়েছি। আমার ভাইদের অবস্থা আশঙ্কাজনক আমাদের সিলেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, মসজিদ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।