ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে প্রশাসনের কঠোরতা লক্ষাধিকের জীবীকা হুমকিতে !
- আপডেট সময় : ১১:২৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধে পুলিশ প্রশাসন খুবই সোচ্চার। আগে র্যাকার এর জন্য ৩/৪ হাজার নিলেও তিন চার ধরে সম্পূর্ণ অযোক্তিকভাবে ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা ধরার সাথে সাথে ব্যাটারি ও মটর খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা খুবই অমানবিক। ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সার প্রতিটি পার্স ভারত কিংবা চায়না থেকে আমদানিকৃত। তাহলে এগুলো অবৈধ হয় কিভাবে ?
এদিকে ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জনগনের সস্তা, সহজলভ্য বাহন হিসেবে এর নকশা আধুনিকায়ন এবং গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে দ্রুত লাইসেন্স প্রদান করাসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেটে অটো রিক্সা ইজিবাইক মালিক চালক সমিতি মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। তারা জেলা প্রশাসক ও মেয়র বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে।
তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবী হলো, বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ না করা এবং সারাদেশে ৫০ লাখ চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল আড়াই কোটি মানুষের জীবন জীবিকা যেন হুমকির মুখে ফেলে দেয়া না হয়।
সমাজের বিশিষ্টজন, রাজনীতিবিদ, শ্রমিক নেতা এবং ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা মালিক-চালকদের বক্তব্য হলো: বিদ্যুৎচালিত বলে এই সব বাহন শব্দ দূষণ কিংবা পরিবেশ দূষণ করে না। ছোট ছোট গলিপথে চলাচল করতে পারে এবং ভাড়া কম বলে এই সব বাহন সারা দেশে প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহনে পরিণত হয়েছে।
তাদের বক্তব্য হলো: বিভিন্ন সময়ে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে তার যে কোন বিকল্প নেই তা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে বৈধভাবে ব্যাটারি ও মটর আমদানি এবং তৈরি হয়। ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করেন। মেকানিক বা মিস্ত্রিরা এই ব্যাটারি ও মটর লাগিয়ে রিক্সা তৈরি করেন। প্যাডেল চালিত রিক্সা চালানোর মতো কষ্টকর ও অমানবিক শ্রমের কাজ আর নেই। ব্যাটারি লাগানোর কারনে চালকদের কিছুটা শারীরিক শ্রম লাঘব হয়, ফলে এই রিক্সা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার শেষ সম্বল বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে রিক্সা কিনে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক বিপর্যয়েরর কারনে মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে। এ অবস্হায় রিক্সা বন্ধ করে দিলে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক চালক বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়বে। পরিবহণের সাথে যুক্ত চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বা তাদের পরিবার পরিজন জীবন- জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়বে এবং তারাও নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাবে যা কারো কাম্য নয়।