ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাহবাজপুরের একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

POWER NEWS BD
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজন ও স্থানীয়রা।

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। সেখানে আগুনে পুড়ে সবাই মারা যান। মুহূর্তের মধ্যে সংসার শেষ।

নিহতের স্বজনরা জানান, শাহবাজপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার (৪২) দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে ব্যবসা করে আসছেন। মাসখানেক আগে বাড়িতে আসেন। ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন (সবুজ কার্ড)। সম্প্রতি সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সবার ভিসা হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ইতালিতে যাননি। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান মোবারক।

এদিকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাজপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

মা হেলেনা বেগম জানান, মোবারক সবাইকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফি ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। আগুনে সবাই মারা গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

স্বপ্নার বড় বোন পলি আক্তার জানান, আগুনে ছোট বোন, বোনের স্বামী ও সন্তানসহ পুরো পরিবার মারা গেছে। মৃত্যুর আগে তারা মোবাইল ফোনে কল করে বাঁচার জন্য চিৎকার করছিল। আমরা তাদের বাঁচাতে পারিনি। এই বলে তিনি কাঁদতে লাগলেন।

শাহবাজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজী বলেন, একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেষকৃত্যের ব্যবস্থায় তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে পৌঁছায়নি। বাদ আসর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোবারক হোসেন কাউছার দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাহবাজপুরের একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজন ও স্থানীয়রা।

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। সেখানে আগুনে পুড়ে সবাই মারা যান। মুহূর্তের মধ্যে সংসার শেষ।

নিহতের স্বজনরা জানান, শাহবাজপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার (৪২) দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে ব্যবসা করে আসছেন। মাসখানেক আগে বাড়িতে আসেন। ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন (সবুজ কার্ড)। সম্প্রতি সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সবার ভিসা হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ইতালিতে যাননি। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান মোবারক।

এদিকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাজপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

মা হেলেনা বেগম জানান, মোবারক সবাইকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফি ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। আগুনে সবাই মারা গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

স্বপ্নার বড় বোন পলি আক্তার জানান, আগুনে ছোট বোন, বোনের স্বামী ও সন্তানসহ পুরো পরিবার মারা গেছে। মৃত্যুর আগে তারা মোবাইল ফোনে কল করে বাঁচার জন্য চিৎকার করছিল। আমরা তাদের বাঁচাতে পারিনি। এই বলে তিনি কাঁদতে লাগলেন।

শাহবাজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজী বলেন, একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেষকৃত্যের ব্যবস্থায় তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে পৌঁছায়নি। বাদ আসর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোবারক হোসেন কাউছার দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।