ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা এলজিইডিই হচ্ছে গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বাজার ব্যবস্থাপনায় শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে মাত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

বই বের করতে দেরী করায় শিক্ষক বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরি হওয়ায় ফারহানা খাতুন নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর দুই পাশের চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির একজন ছাত্রী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন সময়ে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরি করায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন তার মেয়ের দুই কানের উপর থাকা চুল ধরে উঁচু করে রাখেন। একপর্যায়ে চুল ছিঁড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।

জিল্লুর রহমান জানান, তার মেয়েকে সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন শিক্ষক রতন। আবার নির্যাতনের পর মেয়ের হাতে ৫ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে। এমন নির্যাতন করলে শিশুরা স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে আমি অনেক স্নেহ করি। তাকে আদর করতে গিয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) আমি নিজে বিদ্যালয়ে যাবো এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ থ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বই বের করতে দেরী করায় শিক্ষক বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ !

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরি হওয়ায় ফারহানা খাতুন নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর দুই পাশের চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির একজন ছাত্রী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন সময়ে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরি করায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন তার মেয়ের দুই কানের উপর থাকা চুল ধরে উঁচু করে রাখেন। একপর্যায়ে চুল ছিঁড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।

জিল্লুর রহমান জানান, তার মেয়েকে সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন শিক্ষক রতন। আবার নির্যাতনের পর মেয়ের হাতে ৫ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে। এমন নির্যাতন করলে শিশুরা স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে আমি অনেক স্নেহ করি। তাকে আদর করতে গিয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) আমি নিজে বিদ্যালয়ে যাবো এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ থ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।