ফেসবুকে সমকামী প্রেমে আসক্ত হয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাড়িতে !
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
ফেসবুকে পরিচয়ের পর সিলেটের কোতোয়ালী থানা এলাকার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে নাটোর সদর উপজেলার একডালা মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল গত ৭ মাস ধরে। সম্পর্কের সূত্র ধরে সিলেটের ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নাটোরে হাইস্কুলে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে চলে আসে বিয়ে করতে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ এসে দুই ছাত্রীকে তাদের হেফাজতে নেয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালা প্রাণ গেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হেফাজতে থাকা দু’জন হলেন, নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে মোছা. সেতু খাতুন। সে একডালা মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অপরজন সিলেটের কতোয়ালী থানার সোবাহানী ঘাট এলাকার ফারুক আহমেদের মেয়ে তাবাসসুম জান্নাত। সে হযরত শাহজালাল দারুস সালাম ইয়াকুবিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্কুল ছাত্রী সেতু খাতুনের মামা নাহিদ হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমার ভাগ্নীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এমনটা আমি আগে থেকেই জানতাম। সে নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে সেতুকে বকাঝকাও করেছি। কিন্তু আজ আমার ভাগ্নির কাছে একটি মেয়ে চলে এসেছে। তারা দুইজন বলছে, `বিয়ে করবে’ এটা কি মেনে নেয়া যায়।
তিনি বলেন, পুলিশ এসে সিলেট থেকে আসা ওই মেয়েকে থানায় নিয়ে গেছে। আর আমার ভাগ্নীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সিলেট থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্রী তাবাসসুম জানান, ৭ মাস আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরে সমকামিতার সিদ্ধান্ত নেই। সেতু তাকে বিয়ের কথা বললে সে বিয়ে করতে আসে।
সেতু জানান, তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা এক সঙ্গে থাকবেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তাবাসসুম শুক্রবার বিকেলে একডালা এলাকায় এসে সেতুকে বিয়ে করতে চাইলে চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। তাদের উভয় পরিবারের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।