ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতির জনক- গাজী আব্দুল কাদির মুকুল সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন এসজিএমএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল আট জন বিশিষ্ট ব্যক্তি পাচ্ছেন ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হযরত শাহজালাল (র) কামিল মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট দুই লক্ষ টাকা প্রদান হাসান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ সিলেট কতোয়ালী থানার অভিযানে জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য বাবুল আহমদ গ্রেফতার ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আটক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরকান আহমদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান

প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল আমাকে মেরে ফেলার- ট্রাইব্যুনালে হুমায়ুন কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১০:২১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজদে জয়ের বিরুদ্ধে লেখালেখির অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর হুমায়ুন কবিরকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পাঁচ ব্যক্তি। এরপর তাকে দীর্ঘদিন বন্দি রেখে লোমহর্ষক নির্যাতন করেন তারা। শুধু তাই নয়, বন্দিদশা থেকে মুক্তি করে পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছয় বছরের আগের অপহরণের ঘটনায় গুম ও লোমহর্ষক নির্যাতনের তদন্তের অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪২ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ অভিযোগ দিয়েছেন হুমায়ুন কবির।

হুমায়ুন কবিরের আইনজীবী মাহফুজ হাসান জানান, গত সপ্তাহের সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেন রাজধানীর গ্রিন রোড এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির।

অভিযোগে আরো যাদের নাম রয়েছে- শাহরিয়ার আলম, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত ডিআইজি ও র‌্যাব-১০-এর সিও জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, র‌্যাব-১০ এর মো. মহিউদ্দিন ফারুকী, সাবেক নায়েব সুবেদার খায়রুল ইসলাম, সাবেক এসআই, মিরপুর মডেল থানার কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ওসি, মিরপুর মডেল থানা দাদন ফকির, এসআই আবদুল কাদের, সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক এসআই বিল্লাল হোসাইন জনি, সাবেক এএসপি র‌্যাব-১০ মো. শাহীনুর চৌধুরী ও মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক এসআই র‌্যাব-১০ স্বপন কুমার সরকার, আজাহারুল ইসলাম, মো. তোতা মিয়া, মো. আনিছুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, মোছা. বিবি শারজাহান, মনোয়ারা আক্তার, মো. শিহাব, এসআই মো. রফিকুল ইসলাম, এসআই শ্রী স্বপন কুমার সরকার, মো. মোমেন খান, এএসআই মো. তানভীর হোসেন, এএসআই মো. কবির হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম শেখ, মো. গোলাম আজম, কনস্টেবল মো. জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মাহমুদ কলি স্বপন, সৈনিক মো. মাহতাব হোসেন, সাবেক ল্যান্স কর্পোরাল আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কনস্টেবল রিপন চন্দ্র মালো, কনস্টেবল মো. মামুন সরকার ও রাজিন ইসলাম।

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার দিন পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকা থেকে স্টিমার এমভি টার্ন যোগে পিরোজপুর যাচ্ছিলাম। পথে সদরঘাট টার্মিনালের ঢাকা-হুলারহাটগামী স্টিমার থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী ৫ ব্যক্তি আমাকে তুলে নেয়।
সদরঘাট থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে প্রথমে আমার দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ভেজা গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এরপর চোখ বাঁধা অবস্থায় জিজ্ঞাসা করে- সরকারের বিরুদ্ধে ব্লগার হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ ও ফেসবুকে সরকারবিরোধী কেন লেখালেখি করি ? বিএনপির কোন কোন নেতার নির্দেশে এইসব লেখালেখি করি ? প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়-এর বিরুদ্ধে কেন লিখি ? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ আছে তোকে মেরে ফেলার। একপর্যায়ে তাদের বলতে শুনি যে আমাকে গুম করে নির্যাতন ও মেরে ফেলতে ওপর মহলের নির্দেশ আছে।

তিনি আরো বলেন, চোখ বাঁধা অবস্থায় সারা রাত আমাকে মারধর করা হয়। কানে ইলেক্ট্রিট শক দেয়। সারা রাত শারীরিক নির্যাতন করে। ফজরের আজানের পর অর্ধচেতন অবস্থায় অজ্ঞাত একটা রুমে আটকে রাখে। সেই রুমের ছাদ আমার শারীরিক উচ্চতা থেকে কম হওয়ায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম না। চোখ বাঁধা এবং দুই হাত পেছনে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আমাকে নগ্ন করে প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়া আমার গোপনাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শক দিয়েছে। আমার হাঁটু এবং পায়ের গোড়ালিতে বুট পায়ে থেতলিয়ে দিয়েছে। কাঁধে কোমরে ভারী বস্তু দিয়ে পিটিয়েছে। আমার কোমরে এবং পায়ের নখে সুই ফুটিয়েছে, একটা আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে। কয়েকদিন তারা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার কথা বলেছে। একপায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো অবস্থায় আমার চোখের বাঁধন খুলে যায়। তখন আমি কয়েকজন লোককে দেখতে পাই- এর মধ্যে স্টিমার থেকে উঠিয়ে আনার সময় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে চিনতে পারি। তবে আমি কাদের হাতে বন্দি, কোথায় আমার অবস্থান কিছুই জানতাম না। বাথরুম এবং খাবারের সময় একহাতের হ্যান্ডকাফ খুলে দিতো তবে কখনো চোখের বাঁধন খুলত না, গোসল করতে দিতো না। কখন দিন-রাত আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। মাঝে মধ্যে ‘আচ্ছালাতু খাইরুম মিনান্নাউম’ শুনে ফজরের আজান হচ্ছে বুঝতে পেরেছি। এভাবে কতদিন কেটে গেছে তাও বুঝতে পারিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল আমাকে মেরে ফেলার- ট্রাইব্যুনালে হুমায়ুন কবির

আপডেট সময় : ১০:২১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজদে জয়ের বিরুদ্ধে লেখালেখির অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর হুমায়ুন কবিরকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পাঁচ ব্যক্তি। এরপর তাকে দীর্ঘদিন বন্দি রেখে লোমহর্ষক নির্যাতন করেন তারা। শুধু তাই নয়, বন্দিদশা থেকে মুক্তি করে পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছয় বছরের আগের অপহরণের ঘটনায় গুম ও লোমহর্ষক নির্যাতনের তদন্তের অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪২ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ অভিযোগ দিয়েছেন হুমায়ুন কবির।

হুমায়ুন কবিরের আইনজীবী মাহফুজ হাসান জানান, গত সপ্তাহের সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেন রাজধানীর গ্রিন রোড এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির।

অভিযোগে আরো যাদের নাম রয়েছে- শাহরিয়ার আলম, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত ডিআইজি ও র‌্যাব-১০-এর সিও জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, র‌্যাব-১০ এর মো. মহিউদ্দিন ফারুকী, সাবেক নায়েব সুবেদার খায়রুল ইসলাম, সাবেক এসআই, মিরপুর মডেল থানার কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ওসি, মিরপুর মডেল থানা দাদন ফকির, এসআই আবদুল কাদের, সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক এসআই বিল্লাল হোসাইন জনি, সাবেক এএসপি র‌্যাব-১০ মো. শাহীনুর চৌধুরী ও মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক এসআই র‌্যাব-১০ স্বপন কুমার সরকার, আজাহারুল ইসলাম, মো. তোতা মিয়া, মো. আনিছুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, মোছা. বিবি শারজাহান, মনোয়ারা আক্তার, মো. শিহাব, এসআই মো. রফিকুল ইসলাম, এসআই শ্রী স্বপন কুমার সরকার, মো. মোমেন খান, এএসআই মো. তানভীর হোসেন, এএসআই মো. কবির হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম শেখ, মো. গোলাম আজম, কনস্টেবল মো. জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মাহমুদ কলি স্বপন, সৈনিক মো. মাহতাব হোসেন, সাবেক ল্যান্স কর্পোরাল আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কনস্টেবল রিপন চন্দ্র মালো, কনস্টেবল মো. মামুন সরকার ও রাজিন ইসলাম।

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার দিন পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকা থেকে স্টিমার এমভি টার্ন যোগে পিরোজপুর যাচ্ছিলাম। পথে সদরঘাট টার্মিনালের ঢাকা-হুলারহাটগামী স্টিমার থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী ৫ ব্যক্তি আমাকে তুলে নেয়।
সদরঘাট থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে প্রথমে আমার দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ভেজা গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এরপর চোখ বাঁধা অবস্থায় জিজ্ঞাসা করে- সরকারের বিরুদ্ধে ব্লগার হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ ও ফেসবুকে সরকারবিরোধী কেন লেখালেখি করি ? বিএনপির কোন কোন নেতার নির্দেশে এইসব লেখালেখি করি ? প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়-এর বিরুদ্ধে কেন লিখি ? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ আছে তোকে মেরে ফেলার। একপর্যায়ে তাদের বলতে শুনি যে আমাকে গুম করে নির্যাতন ও মেরে ফেলতে ওপর মহলের নির্দেশ আছে।

তিনি আরো বলেন, চোখ বাঁধা অবস্থায় সারা রাত আমাকে মারধর করা হয়। কানে ইলেক্ট্রিট শক দেয়। সারা রাত শারীরিক নির্যাতন করে। ফজরের আজানের পর অর্ধচেতন অবস্থায় অজ্ঞাত একটা রুমে আটকে রাখে। সেই রুমের ছাদ আমার শারীরিক উচ্চতা থেকে কম হওয়ায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম না। চোখ বাঁধা এবং দুই হাত পেছনে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আমাকে নগ্ন করে প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়া আমার গোপনাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শক দিয়েছে। আমার হাঁটু এবং পায়ের গোড়ালিতে বুট পায়ে থেতলিয়ে দিয়েছে। কাঁধে কোমরে ভারী বস্তু দিয়ে পিটিয়েছে। আমার কোমরে এবং পায়ের নখে সুই ফুটিয়েছে, একটা আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে। কয়েকদিন তারা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার কথা বলেছে। একপায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো অবস্থায় আমার চোখের বাঁধন খুলে যায়। তখন আমি কয়েকজন লোককে দেখতে পাই- এর মধ্যে স্টিমার থেকে উঠিয়ে আনার সময় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে চিনতে পারি। তবে আমি কাদের হাতে বন্দি, কোথায় আমার অবস্থান কিছুই জানতাম না। বাথরুম এবং খাবারের সময় একহাতের হ্যান্ডকাফ খুলে দিতো তবে কখনো চোখের বাঁধন খুলত না, গোসল করতে দিতো না। কখন দিন-রাত আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। মাঝে মধ্যে ‘আচ্ছালাতু খাইরুম মিনান্নাউম’ শুনে ফজরের আজান হচ্ছে বুঝতে পেরেছি। এভাবে কতদিন কেটে গেছে তাও বুঝতে পারিনি।