পঞ্চগড়ে করতোয়া নদী থেকে ব্যাটারিচালিত এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার; আটক ১জন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নুরুল ইসলাম (৪০) নামে ব্যাটারিচালিত এক ইজিবাইক (অটো) চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এই হত্যার রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশ জানায়, সাতদিন আগে নিখোঁজ হয় ওই ইজিবাইকচালক। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার এসএস সিরাজুল হুদা। পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২৭ জানুয়ারি জেলার বোদা উপজেলার কাউয়াখাল গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন। গভীর রাত হওয়ায় নুরুল বাড়িতে না ফেরায় বোদা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করে পরিবার (জিডি নং-১৬৬৩, তারিখ: ২৮/০১/২০২৪)। এরপর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় দেবীগঞ্জের দেবীডোবা ইউনিয়নের সুলতানপুর ছলিপাড়া ধামের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভিকটিমের ব্যবহৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। এর পরেও ভিকটিমের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় নুরুলের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে বোদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে (বোদা থানার মামলা নং-৩৩, তারিখ ৩০/০১/২০২৪, ধারা-৩৮৬/৩৬৫/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০)। প্রাথমিক তদন্তে প্রযুক্তিগত সহায়তায় মামলার সন্দিগ্ধ আসামি কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে আলমকে (২৪) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি আলম তার ৩/৪ জন সহযোগীসহ একটি ইজিবাইক ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতো গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ৩/৪ জন সহযোগীসহ মাড়েয়া বাজার এলাকা থেকে সাঁওতালপাড়া ঘাট এলাকায় যাওয়ার জন্য নূরুল ইসলামের ইজিবাইক ভাড়া করে। নূরুল ইসলাম মাড়েয়া বাজার থেকে সাঁওতালপাড়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে আসামি আলমসহ তার সহযোগীরা ভিকটিম নূরুল ইসলামকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একই এলাকা থেকে নুরুলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা আরও বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে মরদেহ উদ্ধারসহ এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।