নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এসএমপি’র বিশেষ সভা
- আপডেট সময় : ০৯:৪১:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে এসএমপি‘র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম’র সভাপতিত্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি মঙলবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মিনিটে অনুষ্ঠিত সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ৬ থানার অফিসার ইনচার্জ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এবং সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু। সিলেট মহানগরী এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান এবং এর পিছনে কোন কোন শক্তি রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং পণ্যবাহী গাড়ি ছিনতাই কাজে যে জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি আরও বলেন, সোবহানীঘাট পাইকারি সবজি মার্কেট সিলেট মহানগরীর যানজট সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ। তিনি ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রদান করে বলেন রাত ১০ টা হতে পণ্যবাহী যানসমূহ মহানগর এলাকায় প্রবেশ করবে এবং সকাল ৮ টার মধ্যে কাঁচামাল ও সবজি পরিবহনকারী বড় যানসমূহ পণ্য খালাস সম্পন্ন করবে। ছোট ট্রাক এবং ঠেলাগাড়ি সকাল ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করবে। মহানগর এলাকায় কোন ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল করবে না। বাজারে প্রতিটি দোকানে যাতে মূল্যতালিকা প্রদর্শন করা হয় এবং পাকা রশিদ প্রদান করা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন।
তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দোকান এবং বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে অতিরিক্ত দাম রাখা হয়। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে মোবাইল কোর্ট করতে বলেন। সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন বাজারসমূহ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাস্তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সবজি পরিবহনকারী কোন যানবাহনে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে মোবাইল পার্টি কাজ করবে। প্রয়োজনে মোবাইল পার্টির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পিকেট ডিউটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর ও দক্ষিণ এবং ০৬ থানার অফিসার ইনচার্জকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং অন্য কোনভাবে হয়রানির অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এসএমপি মিডিয়া সেল প্রধান এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।