ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

দুর্নীতি অভিযোগে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা তিন বিচারপতির পদত্যাগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে

পাঁচ বৎসর যাবত বিচারিক কার্যক্রম বিরত থাকা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেছিলেন, হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয়।

একইসঙ্গে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের পর ওই তিন বিচারপতি ছুটির প্রার্থনা করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন সাইফুর রহমান। তবে তাদের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এ কারণে কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুর্নীতি অভিযোগে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা তিন বিচারপতির পদত্যাগ

আপডেট সময় : ১২:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

পাঁচ বৎসর যাবত বিচারিক কার্যক্রম বিরত থাকা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেছিলেন, হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয়।

একইসঙ্গে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের পর ওই তিন বিচারপতি ছুটির প্রার্থনা করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন সাইফুর রহমান। তবে তাদের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এ কারণে কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি।