ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এবার সিলেটে ট্রাক চাপায় মারা গেলেন এক যুবক ! সিলেট মহানগর যুবদল নেতা রুবেলের পিতার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ- খন্দকার মুক্তাদির সিলেটে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে গবেষণা বিষয়ে কর্মশালা তিন শূন্যের পৃথিবী গড়তে দূষণ কমানোর বিকল্প নেই -নূর আজিজুর রহমান আমরা পরিবেশকে ভালো রাখলে পরিবেশও আমাদের ভালো রাখবে -অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভেদের জায়গায় ঐক্য প্রতিষ্ঠাই আমাদের রাজনীতি -ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ ‘সম্প্রীতি ভবন’আমাদের এই ঐতিহ্যকে আরও প্রসারিত করবে: ড. ইউনূস ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক মডেল মেঘনা, পরিবারের দাবী ও প্রাপ্ত তথ্য রহস্যময় !

দুর্নীতি অভিযোগে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা তিন বিচারপতির পদত্যাগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

পাঁচ বৎসর যাবত বিচারিক কার্যক্রম বিরত থাকা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেছিলেন, হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয়।

একইসঙ্গে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের পর ওই তিন বিচারপতি ছুটির প্রার্থনা করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন সাইফুর রহমান। তবে তাদের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এ কারণে কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুর্নীতি অভিযোগে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা তিন বিচারপতির পদত্যাগ

আপডেট সময় : ১২:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

পাঁচ বৎসর যাবত বিচারিক কার্যক্রম বিরত থাকা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেছিলেন, হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয়।

একইসঙ্গে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের পর ওই তিন বিচারপতি ছুটির প্রার্থনা করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন সাইফুর রহমান। তবে তাদের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এ কারণে কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি।