ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছিল, আমরা মাঠের খেলায় মেতেছি: হাবিব-উন-নবী সোহেল সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব সফলে মহানগর যুবদলের প্রচারপত্র বিলি কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপির বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথম দিনের অভিযানে সিলেটে পাঁচজন আটক অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিসিক পরিচালিত হাসপাতাল ও খাল-ছড়া পরিদর্শন করলেন প্রশাসক

ডলার সংকটে সার আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছে না কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

ডলার সংকটে এবার সার আমদানি হুমকিতে থাকায়, আসছে বোরো মৌসুমে ইউরিয়ার যোগন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছে বকেয়া সাড়ে ১০ কোটি ডলার পরিশোধের তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও শিল্প সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

দেশে ব্যবহৃত সারের বেশিরভাগই প্রয়োজন হয় বোরো মৌসুমে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে কেবল ইউরিয়া সারের প্রয়োজন প্রায় ২৭ লাখ টন। এর সিংহভাগই মেটাতে হয় বাইরের দেশগুলো থেকে আমদানি করে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের দেশিয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির কাছ থেকেও কিনতে হয় বিদেশি মুদ্রায়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বিসিআইসির মাধ্যমে সরকারিভাবে ৯ লাখ টন আর কাফকো থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন ইউরিয়া আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার। আর কাফকোর কাছ থেকে ৫ লাখ টনের মধ্যে ৩ লাখ টনের জন্য এলসি খোলা হয় কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকে। এসব এলসির বিপরীতে কাফকোর পাওনা সাড়ে ১০ কোটি ডলার। যার বেশিরভাগই কৃষি ব্যাংকের কাছে। এই অর্থ সময় মতো দিতে না পারলে সমস্যা হতে পারে বাকি আড়াই লাখ টনের আমদানি প্রক্রিয়ায়। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হতে পারে বড় ধরণের হুমকি।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, সারের চাহিদা কতটুকু আমরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই বুঝতে পারবো। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও দেখছি না যে কোনো এলাকায় সারের সংকট তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে এই বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দিয়েছে বিসিআইসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডলার সংকটে সার আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছে না কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

ডলার সংকটে এবার সার আমদানি হুমকিতে থাকায়, আসছে বোরো মৌসুমে ইউরিয়ার যোগন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছে বকেয়া সাড়ে ১০ কোটি ডলার পরিশোধের তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও শিল্প সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

দেশে ব্যবহৃত সারের বেশিরভাগই প্রয়োজন হয় বোরো মৌসুমে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে কেবল ইউরিয়া সারের প্রয়োজন প্রায় ২৭ লাখ টন। এর সিংহভাগই মেটাতে হয় বাইরের দেশগুলো থেকে আমদানি করে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের দেশিয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির কাছ থেকেও কিনতে হয় বিদেশি মুদ্রায়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বিসিআইসির মাধ্যমে সরকারিভাবে ৯ লাখ টন আর কাফকো থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন ইউরিয়া আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার। আর কাফকোর কাছ থেকে ৫ লাখ টনের মধ্যে ৩ লাখ টনের জন্য এলসি খোলা হয় কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকে। এসব এলসির বিপরীতে কাফকোর পাওনা সাড়ে ১০ কোটি ডলার। যার বেশিরভাগই কৃষি ব্যাংকের কাছে। এই অর্থ সময় মতো দিতে না পারলে সমস্যা হতে পারে বাকি আড়াই লাখ টনের আমদানি প্রক্রিয়ায়। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হতে পারে বড় ধরণের হুমকি।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, সারের চাহিদা কতটুকু আমরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই বুঝতে পারবো। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও দেখছি না যে কোনো এলাকায় সারের সংকট তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে এই বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দিয়েছে বিসিআইসি।