ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছিল, আমরা মাঠের খেলায় মেতেছি: হাবিব-উন-নবী সোহেল সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব সফলে মহানগর যুবদলের প্রচারপত্র বিলি কৌশল ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপির বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথম দিনের অভিযানে সিলেটে পাঁচজন আটক অনন্য ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার এম এ সালাম — গাজী আব্দুল কাদির মুকুল আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিসিক পরিচালিত হাসপাতাল ও খাল-ছড়া পরিদর্শন করলেন প্রশাসক

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এবং রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নেদারল্যান্ডের দি হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের শুনানির জন্য সেখানে অবস্হান করছেন।

সোমবার ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতকে অনুরোধ করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবিকৃত জমিতে ইসরাইলের দখল অবৈধ ঘোষণা এবং এটি অবিলম্বে ও নি:শর্তভাবে সমাপ্ত করতে হবে।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য ইসরাইলের ৫৭ বছরের জমি দখলের বৈধতা নিয়ে ঐতিহাসিক শুনানির শুরুতে এই অভিযোগ আসে। মামলাটি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে করা হয়েছে। অবিলম্বে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এটির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে শুনানির উদ্দেশ্য ছিল অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা ভূখণ্ড এবং জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলের ওপর ইসরাইলের উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের সামনে বলেছেন, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি যার অর্ধেক শিশু, তারা অবরুদ্ধ এবং বোমা হামলায় নিহত ও পঙ্গু, ক্ষুধার্ত ও বাস্তুচ্যুত।

অধিবেশন ছয় দিন স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলের নীতির বিষয়ে বাধ্যতামূলক নয় এমন একটি পরামর্শমূলক মতামতের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি অনুরোধের পর এই অধিবেশন ডাকা হয়। বিচারকদের মতামত জারি করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।

ফিলিস্তিনিদের যুক্তি, ইসরাইল অধিকৃত ভূমির বিশাল অংশ অধিগ্রহণ করে আঞ্চলিক আগ্রাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবৈষম্যের ব্যবস্থা আরোপ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের ভাষণের পর নজিরবিহীনভাবে ৫১টি দেশ এবং তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বক্তব্য রাখবে। শুনানির সময় ইসরাইলের কথা বলার সময় নির্ধারিত নেই, তবে তারা একটি লিখিত বিবৃতি জমা দিতে পারে।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক এবং ইসরাইল ডেমোক্রেসি ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ফেলো ইউভাল শ্যানি বলেছেন, ইসরাইল সম্ভবত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিশেষ করে শান্তি চুক্তির অনুপস্থিতিতে চলমান দখলদারিত্বকে ন্যায্যতা দেবে।

এটি সম্ভবত ৭ অক্টোবরের হামলার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ১২০০ জনকে হত্যা করেছিল এবং ২৫০ জন জিম্মিকে অপহরণ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

ফিলিস্তিনিরা এবং নেতৃস্থানীয় অধিকার গোষ্ঠীর যুক্তি, ইসরাইলের দখল প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার বাইরে চলে গেছে। তারা বলে, এটি বর্ণবাদী ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, যা দখলকৃত জমিতে বসতি স্থাপনের দ্বারা শক্তিশালী হয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয় এবং জর্ডান নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ইহুদি আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরাইল বর্ণবাদের যেকোনো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র

আপডেট সময় : ১১:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এবং রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নেদারল্যান্ডের দি হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের শুনানির জন্য সেখানে অবস্হান করছেন।

সোমবার ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতকে অনুরোধ করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবিকৃত জমিতে ইসরাইলের দখল অবৈধ ঘোষণা এবং এটি অবিলম্বে ও নি:শর্তভাবে সমাপ্ত করতে হবে।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য ইসরাইলের ৫৭ বছরের জমি দখলের বৈধতা নিয়ে ঐতিহাসিক শুনানির শুরুতে এই অভিযোগ আসে। মামলাটি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে করা হয়েছে। অবিলম্বে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এটির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে শুনানির উদ্দেশ্য ছিল অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা ভূখণ্ড এবং জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলের ওপর ইসরাইলের উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের সামনে বলেছেন, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি যার অর্ধেক শিশু, তারা অবরুদ্ধ এবং বোমা হামলায় নিহত ও পঙ্গু, ক্ষুধার্ত ও বাস্তুচ্যুত।

অধিবেশন ছয় দিন স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলের নীতির বিষয়ে বাধ্যতামূলক নয় এমন একটি পরামর্শমূলক মতামতের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি অনুরোধের পর এই অধিবেশন ডাকা হয়। বিচারকদের মতামত জারি করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।

ফিলিস্তিনিদের যুক্তি, ইসরাইল অধিকৃত ভূমির বিশাল অংশ অধিগ্রহণ করে আঞ্চলিক আগ্রাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবৈষম্যের ব্যবস্থা আরোপ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের ভাষণের পর নজিরবিহীনভাবে ৫১টি দেশ এবং তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বক্তব্য রাখবে। শুনানির সময় ইসরাইলের কথা বলার সময় নির্ধারিত নেই, তবে তারা একটি লিখিত বিবৃতি জমা দিতে পারে।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক এবং ইসরাইল ডেমোক্রেসি ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ফেলো ইউভাল শ্যানি বলেছেন, ইসরাইল সম্ভবত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিশেষ করে শান্তি চুক্তির অনুপস্থিতিতে চলমান দখলদারিত্বকে ন্যায্যতা দেবে।

এটি সম্ভবত ৭ অক্টোবরের হামলার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ১২০০ জনকে হত্যা করেছিল এবং ২৫০ জন জিম্মিকে অপহরণ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

ফিলিস্তিনিরা এবং নেতৃস্থানীয় অধিকার গোষ্ঠীর যুক্তি, ইসরাইলের দখল প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার বাইরে চলে গেছে। তারা বলে, এটি বর্ণবাদী ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, যা দখলকৃত জমিতে বসতি স্থাপনের দ্বারা শক্তিশালী হয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয় এবং জর্ডান নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ইহুদি আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরাইল বর্ণবাদের যেকোনো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।