ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সিলেটবাসীকে নাহিদ আহমদ শুভেচ্ছা ধুমপান নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা অপরিহার্য -ড. মুস্তাফিজুর রহমান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা চালকের হাতে বিমানের টিকেট তুলে দিলেন কয়েস লোদী সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য হলেন ১৬ জন সাংবাদিক আওয়ামীলীগের ডিএনএ-তে গণতন্ত্র নাই – সালাউদ্দিন আহমদ বরখাস্ত/অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি এবার শাহজালাল মাজারের ওরসে অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ হবে না : এসএমপি কমিশনার বিপিজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বী নির্বাচিত কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ০৬ (ছয়) ডাকাত গ্রেফতারঃ

চ্যারিটি হিসেবে আনা জমজমের পানি বাংলাদেশে বিক্রি করা যাবে না- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

জমজমের পানির প্রতীকী ছবি। ছবি: সৌদি গেজেট
হজযাত্রীদের নিয়ে আসা মক্কার পবিত্র জমজম কূপের পানিসহ সৌদি আরব থেকে দাতব্য উপায়ে সংগৃহীত সমস্ত জিনিস দেশে এনে বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সৌদি আরব থেকে চ্যারিটির পণ্য দেশে এনে বিক্রি এবং ধর্মীয় অনুভুতিকে পুঁজি করে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খেজুর, আতরসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হলে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য করে বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ভোক্তা অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘পবিত্র জমজমের পানি, রিয়াজুল জান্নাহ নামে জায়নামাজ, আতর, খেুজর ইত্যাদি পণ্য বিক্রয়কারী’ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, সৌদি আরব থেকে চ্যারিটির পণ্য দেশে এনে বিক্রি করা যাবে না। চ্যারিটি পণ্য হিসেবে পবিত্র জমজমের পানি আনা হয়। এটি এক ব্যক্তি এক বোতল আনতে পারেন। সেটা দেশে নানান চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা যাবে না।

সৌদি আরব থেকে নিয়ে আসা খেজুর ও অলিভ অয়েল কেউ বিক্রি করলে তাকে প্রতারণা হিসেবে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ভোক্তার পরিচালক বলেন,ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ব্যবসা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন আরও বলেন, জমজমের পানি বিক্রির অনুমতি নেই। বাংলাদেশও সেই অনুমতি দেয় না। এই পানি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য।

সভায় খেজুর আমদানিকারক সিরাজুল ইসলাম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, খেজুর আমদানির ওপর চড়া কর বসানোর কারণে আসন্ন রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা সম্ভবত চাহিদামাফিক খেজুর সরবরাহ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, গত বছরে এ সময়ে আমি ২১ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খুলেছিলাম। কিন্তু এ বছর এখনও ৭ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্যও এলসি করতে পারিনি। কারণ আমার পুরো পণ্যের জন্য অতিরিক্ত ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা বেশি লাগবে,বলেন তিনি।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চ্যারিটি হিসেবে আনা জমজমের পানি বাংলাদেশে বিক্রি করা যাবে না- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ১০:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

জমজমের পানির প্রতীকী ছবি। ছবি: সৌদি গেজেট
হজযাত্রীদের নিয়ে আসা মক্কার পবিত্র জমজম কূপের পানিসহ সৌদি আরব থেকে দাতব্য উপায়ে সংগৃহীত সমস্ত জিনিস দেশে এনে বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সৌদি আরব থেকে চ্যারিটির পণ্য দেশে এনে বিক্রি এবং ধর্মীয় অনুভুতিকে পুঁজি করে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খেজুর, আতরসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হলে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য করে বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ভোক্তা অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘পবিত্র জমজমের পানি, রিয়াজুল জান্নাহ নামে জায়নামাজ, আতর, খেুজর ইত্যাদি পণ্য বিক্রয়কারী’ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, সৌদি আরব থেকে চ্যারিটির পণ্য দেশে এনে বিক্রি করা যাবে না। চ্যারিটি পণ্য হিসেবে পবিত্র জমজমের পানি আনা হয়। এটি এক ব্যক্তি এক বোতল আনতে পারেন। সেটা দেশে নানান চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা যাবে না।

সৌদি আরব থেকে নিয়ে আসা খেজুর ও অলিভ অয়েল কেউ বিক্রি করলে তাকে প্রতারণা হিসেবে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ভোক্তার পরিচালক বলেন,ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ব্যবসা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন আরও বলেন, জমজমের পানি বিক্রির অনুমতি নেই। বাংলাদেশও সেই অনুমতি দেয় না। এই পানি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য।

সভায় খেজুর আমদানিকারক সিরাজুল ইসলাম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, খেজুর আমদানির ওপর চড়া কর বসানোর কারণে আসন্ন রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা সম্ভবত চাহিদামাফিক খেজুর সরবরাহ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, গত বছরে এ সময়ে আমি ২১ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খুলেছিলাম। কিন্তু এ বছর এখনও ৭ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্যও এলসি করতে পারিনি। কারণ আমার পুরো পণ্যের জন্য অতিরিক্ত ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা বেশি লাগবে,বলেন তিনি।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।