ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতির জনক- গাজী আব্দুল কাদির মুকুল সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন এসজিএমএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল আট জন বিশিষ্ট ব্যক্তি পাচ্ছেন ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হযরত শাহজালাল (র) কামিল মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট দুই লক্ষ টাকা প্রদান হাসান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ সিলেট কতোয়ালী থানার অভিযানে জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য বাবুল আহমদ গ্রেফতার ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আটক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরকান আহমদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান

ঘোষিত ফলাফলে তেহরিক–ই– ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানে গণপরিষদ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫০টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন দখলে নিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যাদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। যদিও এককভাবে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৩৪ আসন।

বাকি আসনগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭১টি আসন। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) দখলে গেছে ৫৩টি আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দলের দখলে গেছে ২৭টি।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তুলনায় পরিষ্কার ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনে তার দল ‘একক বৃহত্তর দল’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তবে সরকার গঠনের জন্য দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না স্বীকার করে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ মাওলানা ফজলুর রহমান ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের খালিদ মকবুল সিদ্দিকীকে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাহোরে সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে নওয়াজ বলেন, আমরা সব দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ম্যান্ডেটকে সম্মান করি।

তিনি আরও বলেন, সব দলের দায়িত্ব একসঙ্গে সরকার গঠন করা এবং পাকিস্তানকে বর্তমান সংকট থেকে বের করে আনা। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তবেই পাকিস্তান এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ বলেন, পাকিস্তানের অন্তত ১০ বছরের স্থিতিশীলতা দরকার। যারা সংঘাতের মেজাজে আছেন, তাদের বলতে চাই—আমরা কোনো লড়াই চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং পাকিস্তানকে একবিংশ শতাব্দীতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভুলের কারণে আমরা তা আগে করতে পারিনি।’

এ সময় পিএমএল-এন একক দল হিসেবে সরকার গঠনের অবস্থানে নেই স্বীকার করে নওয়াজ তার সাবেক জোটের শরিকদের একসঙ্গে বসে ঐক্য সরকার গঠন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমি শেহবাজ শরিফকে আজ রাতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি। আমি তাকে আসিফ আলী জারদারি, মাওলানা ফজলুর রহমান ও খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘোষিত ফলাফলে তেহরিক–ই– ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী

আপডেট সময় : ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানে গণপরিষদ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫০টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন দখলে নিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যাদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। যদিও এককভাবে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৩৪ আসন।

বাকি আসনগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭১টি আসন। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) দখলে গেছে ৫৩টি আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দলের দখলে গেছে ২৭টি।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তুলনায় পরিষ্কার ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনে তার দল ‘একক বৃহত্তর দল’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তবে সরকার গঠনের জন্য দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না স্বীকার করে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ মাওলানা ফজলুর রহমান ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের খালিদ মকবুল সিদ্দিকীকে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাহোরে সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে নওয়াজ বলেন, আমরা সব দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ম্যান্ডেটকে সম্মান করি।

তিনি আরও বলেন, সব দলের দায়িত্ব একসঙ্গে সরকার গঠন করা এবং পাকিস্তানকে বর্তমান সংকট থেকে বের করে আনা। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তবেই পাকিস্তান এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ বলেন, পাকিস্তানের অন্তত ১০ বছরের স্থিতিশীলতা দরকার। যারা সংঘাতের মেজাজে আছেন, তাদের বলতে চাই—আমরা কোনো লড়াই চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং পাকিস্তানকে একবিংশ শতাব্দীতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভুলের কারণে আমরা তা আগে করতে পারিনি।’

এ সময় পিএমএল-এন একক দল হিসেবে সরকার গঠনের অবস্থানে নেই স্বীকার করে নওয়াজ তার সাবেক জোটের শরিকদের একসঙ্গে বসে ঐক্য সরকার গঠন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমি শেহবাজ শরিফকে আজ রাতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি। আমি তাকে আসিফ আলী জারদারি, মাওলানা ফজলুর রহমান ও খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।