ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব পরিদর্শনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভ্যাট বাড়লে ওসমানীনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি ! ৫ আগস্টের পূর্বে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদেরকে সম্মানজনক জায়গায় রাখতে হবে- কাইয়ুম চৌধুরী ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ: ইমদাদ চৌধুরী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি : ইমদাদ চৌধুরী নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে –জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিনন্দন গোল্ডেন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক রায়হান নির্বাচিত

এডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ওসি মো.শাহীন মিয়া। ৩৫ বছর বয়সী চন্দন দাস আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। তাকে বর্তমানে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভৈরব থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। তারা আমাদেরকে জানালে আমি পুলিশ নিয়ে স্টেশনে অবস্থান নিই।

স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন এবং রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাত আরও গভীর হলে ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ওসি মো.শাহীন মিয়া। ৩৫ বছর বয়সী চন্দন দাস আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। তাকে বর্তমানে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভৈরব থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। তারা আমাদেরকে জানালে আমি পুলিশ নিয়ে স্টেশনে অবস্থান নিই।

স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন এবং রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাত আরও গভীর হলে ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।