ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- আপডেট সময় : ১০:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এই প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো ইরান। দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে তারা ‘দখলীকৃত ভূমিতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ওই হামলা চালিয়েছে’। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও ইরানের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে ইসরায়েল ও অন্য কয়েকটি দেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের গতিরোধ করেছে, যার বেশিরভাগ হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরে।
`আজ রাতে ইরানের দিক থেকে এই হামলা একটি মারাত্মক ঘটনা, আমাদের সহযোগী ও অংশীদারদের সঙ্গে মিলে আমরা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও জনগণকে রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি’ বলেছেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি।
তিনি আরও জানান, দুশোর মতো ঘাতক ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান এবং এর অধিকাংশই ইসরায়েল ও অঞ্চল জুড়ে তার সহযোগীরা রুখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত করেছে এবং একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুরো ইসরায়েল জুড়ে সাইরেনের শব্দের পাশাপাশি জেরুসালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের হামলা শুরুর পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে কোন পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী প্রস্তুত আছে।
একই সঙ্গে তিনি তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমার নীতি পরিষ্কার। যেই আমাদের ক্ষতি করবে, আমরা তাদের ক্ষতি করবো। যে কোন হুমকির মুখে আমরা আমাদের রক্ষা করবো।
ইরান হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গত পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি পেতে হবে। দুজন জেনারেলসহ ইরানি রেভলিউশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য ওই হামলায় নিহত হয়েছিলো। তবে ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেলাওয়ারে তার সফর সংক্ষিপ্ত করে হোয়াইট হাউজে ফিরে ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিমের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন ইরান ও তার প্রক্সিদের হুমকি থেকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অঙ্গীকারে আমরা অবিচল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
হামলার নিন্দা করে দেয়া বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা