ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুদকের মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে বিএনপির ছয় শীর্ষ নেতাসহ নয়জনকে অব্যাহতি মরহুম এম সাইফুর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ছিলেন: শামসুজ্জামান দুদু দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পথিকৃৎ ছিলেন এম সাইফুর রহমান: ইমদাদ চৌধুরী পটপরিবর্তনের পর থেকে বায়তুল মোকাররমের খতিবের বর্তমান অবস্থান গোপালগঞ্জে ! অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের খবর গুজব, শিগগির আঁধার কেটে যাবে :বাহাউদ্দিন নাছিম দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে শামীম ওসমান ! স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বার ও ব্যাঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে -সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নবগঠিত অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে সিলেট মহানগর বিএনপির অভিনন্দন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্বকে আরিফুল হক চৌধুরীর অভিনন্দন নবনির্বাচিত অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে খন্দকার মুক্তাদিরের অভিনন্দন

আমি নিজেকে বিধবা মনে করি: কারাভোগের পর মুক্তি পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছেন জে.কেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কারাগারের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডা. সাবরিনা জানিয়েছেন, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে বাবা-মাকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি তিনি।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমাকে কেউ দেখতে যায়নি। শুধু বাবা-মা পাশে ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। সব কষ্টে তারাই পাশে থাকেন।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার, তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, কারাগারে সবাই আমাকে চিনতো। আমি তো খুব ভাইরাল ছিলাম সে সময়ে। সবাই জানতো ডা. সাবরিনা তাদের সঙ্গে থাকছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমি নিজেকে বিধবা মনে করি: কারাভোগের পর মুক্তি পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা

আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছেন জে.কেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কারাগারের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডা. সাবরিনা জানিয়েছেন, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে বাবা-মাকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি তিনি।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমাকে কেউ দেখতে যায়নি। শুধু বাবা-মা পাশে ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। সব কষ্টে তারাই পাশে থাকেন।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার, তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, কারাগারে সবাই আমাকে চিনতো। আমি তো খুব ভাইরাল ছিলাম সে সময়ে। সবাই জানতো ডা. সাবরিনা তাদের সঙ্গে থাকছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।