ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট মহানগর যুবদল নেতা রুবেলের পিতার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ- খন্দকার মুক্তাদির সিলেটে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে গবেষণা বিষয়ে কর্মশালা তিন শূন্যের পৃথিবী গড়তে দূষণ কমানোর বিকল্প নেই -নূর আজিজুর রহমান আমরা পরিবেশকে ভালো রাখলে পরিবেশও আমাদের ভালো রাখবে -অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভেদের জায়গায় ঐক্য প্রতিষ্ঠাই আমাদের রাজনীতি -ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ ‘সম্প্রীতি ভবন’আমাদের এই ঐতিহ্যকে আরও প্রসারিত করবে: ড. ইউনূস ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক মডেল মেঘনা, পরিবারের দাবী ও প্রাপ্ত তথ্য রহস্যময় ! গা’জা’য় ই’স’রা’য়েলি নৃ’শং’স হা’ম’লা ও গণ’হ’ত্যার প্র’তি’বাদে বৃহত্তর শিবগঞ্জবাসীর মানববন্ধন

আমি নিজেকে বিধবা মনে করি: কারাভোগের পর মুক্তি পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছেন জে.কেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কারাগারের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডা. সাবরিনা জানিয়েছেন, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে বাবা-মাকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি তিনি।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমাকে কেউ দেখতে যায়নি। শুধু বাবা-মা পাশে ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। সব কষ্টে তারাই পাশে থাকেন।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার, তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, কারাগারে সবাই আমাকে চিনতো। আমি তো খুব ভাইরাল ছিলাম সে সময়ে। সবাই জানতো ডা. সাবরিনা তাদের সঙ্গে থাকছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমি নিজেকে বিধবা মনে করি: কারাভোগের পর মুক্তি পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা

আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছেন জে.কেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কারাগারের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডা. সাবরিনা জানিয়েছেন, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে বাবা-মাকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি তিনি।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমাকে কেউ দেখতে যায়নি। শুধু বাবা-মা পাশে ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। সব কষ্টে তারাই পাশে থাকেন।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার, তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, কারাগারে সবাই আমাকে চিনতো। আমি তো খুব ভাইরাল ছিলাম সে সময়ে। সবাই জানতো ডা. সাবরিনা তাদের সঙ্গে থাকছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।