আদালতে হাজিরা দিতে আসার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত; ২ জন আটক
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় জুনেদুল ইসলাম (২৭) নামে খুন হন গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টায়। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঐদিন (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের কলুমপুর গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে কাসিম আলী (৩০) ও মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে নজির আলী (৪৫)।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে দিতে বড়ভাইসহ বালাগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন জুনেদুল ইসলাম। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামের জামে মসজিদের সামনে আসা মাত্র তাদের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে জুনেদুল ঘটনাস্থলেই জুনেদুল নিহত হন। স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শোনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহত জাহেদুলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে গতকাল বুধবার তাঁর বাম পায়ে অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাহেদুলের বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন।
জানা গেছে, জুনেদুল ও জাহেদুলদের সঙ্গে একই গ্রামের আহাদ আলী, আক্তার আলী ও মজির উদ্দিনের জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে দুই বছর আগে আহাদ আলী পক্ষের কয়েকজনের উপর হামলা করে একজনের পা কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে জুনেদুল ও জাহেদুলদের উপর। এ ঘটনায় আদালতে মামলা বিচারাধীন। এই মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সকালে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি থেকে বের হন জুনেদুল ও জাহেদুল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের রুকনপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশে পৌঁছামাত্র ১৫-২০ জন অটোরিকশাটি আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলায় চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই জুনেদুলের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত হন জাহেদুল। হামলাকালে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে জুনেদুলের পিতা কনাই মিয়া বাদী হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কলুমপুর গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে কাসিম আলী (৩০), মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে আব্দুল আহাদ (৫৫), আব্দুল আহাদের ছেলে হাসান (৩২), মোহাম্মদ আলী (৩০), মো. মজলু মিয়া (২৫), আব্দুল বাছিত (২৪) ও মো. আতিক (১৮), আয়াজ আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন (২০), মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে নজির আলী (৪৫), আফতার আলী (৬০), আয়াজ আলী (৫২), নাজির আলীর ছেলে ফাহিম হোসেন (১৮) এবং আফতার আলীর ছেলে এনাম হোসেনকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। এছাড়ার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪-৫ জনকে।