ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত গণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা ভারতে অরাজকতা চরম;দুই সেনা কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ যে কথা যায় না বলা শুধু বুঝা যায় লুন্টিত অস্ত্র কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে শমশেরনগর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে ব্যবসায়ীরা

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকেরর সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা বক্তব্য দিয়েছেন। গত বছর থেকেই এ আলোচনা চলছে। আইনের কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না, বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের মোট সংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত হলে, সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। আর মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি হলে ১৫ শতাংশের সম্মতি লাগবে। অবশ্য ‘টাইপকৃত ভুলের’ কারণে রাষ্ট্রপতি আইনে সই না করে ফেরত দিয়েছিলেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, শিল্পকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে বর্তমানে যত শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি ধীরে ধীরে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এটি সাধারণত ১০ শতাংশ। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কার্স ফেডারেশন যেগুলো আছে, তারা সবসময় বলে আসছে আস্তে আস্তে কমানোই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকের অধিকারের ক্লাইমেট (পরিবেশ) অনুযায়ী এটি কমানো হবে। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমরা আস্তে আস্তে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেব।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যে শ্রম আইনটি গিয়েছিল, সেটি একটি বিশেষ কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণ আগেই তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। সেই ব্যাপারও আলোচনায় এসেছে। বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান আইনমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকেরর সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার বৈঠক

আপডেট সময় : ০৩:২০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

ঢাকা অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা বক্তব্য দিয়েছেন। গত বছর থেকেই এ আলোচনা চলছে। আইনের কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না, বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের মোট সংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত হলে, সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। আর মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি হলে ১৫ শতাংশের সম্মতি লাগবে। অবশ্য ‘টাইপকৃত ভুলের’ কারণে রাষ্ট্রপতি আইনে সই না করে ফেরত দিয়েছিলেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, শিল্পকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে বর্তমানে যত শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি ধীরে ধীরে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এটি সাধারণত ১০ শতাংশ। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কার্স ফেডারেশন যেগুলো আছে, তারা সবসময় বলে আসছে আস্তে আস্তে কমানোই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকের অধিকারের ক্লাইমেট (পরিবেশ) অনুযায়ী এটি কমানো হবে। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমরা আস্তে আস্তে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেব।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যে শ্রম আইনটি গিয়েছিল, সেটি একটি বিশেষ কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণ আগেই তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। সেই ব্যাপারও আলোচনায় এসেছে। বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান আইনমন্ত্রী।